close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

ভ য় ঙ্ক র হা ম লা য় কাঁ প ছে তে হ রা ন, ই স রা য়ে লি যু দ্ধ বি মা নে র তা ণ্ড বে নি হ ত ই রা নি ক মা ন্ডা র, ধ্বং স ক্ষে পণা স্ত্র..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়ঙ্কর পাল্টা আঘাতে তেহরান দুলে উঠেছে। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ প্ল্যাটফর্মে সুনির্দিষ্ট হামলায় এক শীর্ষ সেনা কমান্ডার নিহত হয়েছেন। রাতভর চলে বিধ্বংসী বিমান হামলা—ব্যবহৃত হয় ৬০টির..

মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা আরও এক ধাপ বাড়লো। শুক্রবার (২০ জুন) দুপুরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা ইরানের ভেতরে থাকা ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ প্ল্যাটফর্মে সুনির্দিষ্ট হামলা চালিয়ে এক সামরিক কমান্ডারকে হত্যা করেছে। এই হামলা এমন সময় হলো, যখন দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, এই হামলায় তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ প্ল্যাটফর্ম পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে জানানো হয়, নিহত ব্যক্তি সেই কমান্ডার যিনি সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। যদিও তার নাম বা পদবী এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

ইসরায়েলি সামরিক সূত্র জানিয়েছে, এই হামলা ছিল একেবারেই নির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক । তারা নিশ্চিত ছিল যে, ঐ কমান্ডার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে ছিলেন। তাই তাকে এবং প্ল্যাটফর্মকে ধ্বংস করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

হামলার পরপরই পুরো এলাকায় বিশাল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। স্থানীয় সূত্র বলছে, বিস্ফোরণের অভিঘাতে মাইক্রোসফট অফিসের কাছাকাছি অবস্থিত একটি শিল্পাঞ্চলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিস্ফোরণের ধাক্কায় জানালা-দরজা উড়ে গেছে, শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

এরই মধ্যে আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। বৃহস্পতিবার রাতে ইসরায়েলি বাহিনী তেহরানের বিভিন্ন স্থাপনায় রাতভর চালিয়েছে ব্যাপক বিমান হামলা। এই হামলায় অংশ নেয় ৬০টিরও বেশি এফ-১৬ ও এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, যারা প্রায় ১২০টি ভারী বোমা ফেলে।

হামলার মূল লক্ষ্য ছিল ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কারখানা ও সামরিক শিল্পস্থাপনাগুলো। ইসরায়েল দাবি করেছে, এসব স্থাপনা ধ্বংস করতে তারা পুরোপুরি সফল হয়েছে। যদিও নিরপেক্ষ কোনো সূত্র থেকে এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির নির্দিষ্ট চিত্র পাওয়া যায়নি।

বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েকদিনে ইরানজুড়ে ইসরায়েলি অভিযানে ৬০০-এরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। কিন্তু ইরান সরকার এই তথ্য স্বীকার করছে না। সরকারি ঘোষণায় বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে প্রায় ২০০ জন, তবে বিশ্লেষকরা এটিকে “আংশিক সত্য” বলে মনে করছেন।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, ইরান সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে নিহতের সংখ্যা কমিয়ে দেখাচ্ছে যাতে দেশের ভেতরে গণবিক্ষোভ ও আন্তর্জাতিক চাপ এড়ানো যায়।

এই হামলার পরেও ইরানের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। দেশটির সামরিক বা রাজনৈতিক নেতারা এখনো চুপ রয়েছেন। তবে অনুমান করা হচ্ছে, ইরান এর প্রতিশোধ নিতে পারে, এবং তা হতে পারে একটি পূর্ণমাত্রার সংঘর্ষের সূচনা।

বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, এই পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে না আনলে তা একটি পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে পরিণত হতে পারে, যার প্রভাব পড়বে গোটা বিশ্বজুড়ে। তেলবাজার থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা পর্যন্ত সবক্ষেত্রেই এই উত্তেজনার প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে।

বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্য যেন এক অগ্নিগর্ভ অবস্থায় দাঁড়িয়ে। ইসরায়েলের সুনির্দিষ্ট সামরিক অভিযান এবং ইরানের নিশ্চুপ প্রতিক্রিয়া – দুটিই বিশ্ববাসীকে উদ্বিগ্ন করছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, পরবর্তী ধাপ কী?
বিশ্ব এখন তাকিয়ে আছে তেহরানের দিকেই – ইরান কী প্রতিশোধ নেবে, নাকি কূটনীতির পথ বেছে নেবে?

कोई टिप्पणी नहीं मिली