close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে সরকার। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় বায়ুদূষণ রোধে কিছু এলাকা ‘নো ব্রিকফিল্ড জোন’ হিসেবে ঘোষণা করা হবে। এছাড়া দূষণ নিয়ন্ত্রণে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠনেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা আগামী বর্ষাকাল পর্যন্ত সক্রিয় থাকবে।
বায়ুদূষণ রোধে কঠোর উদ্যোগ
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এই ঘোষণা দেন উপদেষ্টা। তিনি জানান, বায়ুদূষণের প্রধান উৎস নির্মাণ কাজের ধুলা, ইটভাটা ও যানবাহনের ধোঁয়া চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
“জনসচেতনতা বৃদ্ধি, আইন বাস্তবায়ন এবং মনিটরিংয়ের মাধ্যমে দূষণ সমস্যার সমাধান করা হবে,” বলেন তিনি।
তিনি আরও জানান, পুরনো যানবাহন অপসারণ এবং রাজধানীতে খোলা ট্রাক প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ধুলা নিয়ন্ত্রণে পানি ছিটানো, নির্মাণ সামগ্রী ঢেকে রাখা এবং সুরক্ষা বেষ্টনী ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হবে।
পরিবেশ রক্ষায় সমন্বিত প্রচেষ্টা
সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানান, ঢাকার খালগুলো পুনরুদ্ধার এবং উন্মুক্ত জায়গায় খেলার মাঠ তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে রাস্তার ধারে ঘাস লাগানো, বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ এবং ভ্যাকুয়াম ট্রাকের মাধ্যমে রাস্তা পরিষ্কার রাখা হবে।
অভিনব উদ্যোগে আশার আলো
সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নিয়মিত মনিটরিং এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর আইন প্রয়োগ নিশ্চিত করা হবে। এসব পদক্ষেপ বায়ুদূষণ রোধে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সতর্কতামূলক পরামর্শ
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, “বায়ুদূষণ রাতারাতি সমাধান সম্ভব নয়, তাই জনগণকে মাস্ক ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে।”
সরকারের এই উদ্যোগগুলো ঢাকার পরিবেশের মানোন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
আপনার মতামত জানান! বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে এসব পদক্ষেপ কতটা কার্যকর হবে বলে আপনি মনে করেন?
कोई टिप्पणी नहीं मिली



















