প্রধান পয়েন্টগুলো:
-
৬৫০০ জন আটক, কেবল ৪৫০ জনের বাংলাদেশি পরিচয় প্রমাণিত – গুজরাট পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, বাকি সবাই এখনও সন্দেহের আওতায়।
-
নথি থাকা সত্ত্বেও হয়রানি – ভারতের বৈধ নাগরিকদের আধার, ভোটার আইডি, রেশন কার্ড, এমনকি পাসপোর্ট থাকার পরও গ্রেফতার এবং দেরিতে মুক্তি।
-
বিচার ব্যবস্থার অবহেলা – ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে পেশ করার আইন থাকলেও অনেককে দিনের পর দিন আটকে রাখা হয়েছে।
-
মানবিক বিপর্যয় – পরিবার বিচ্ছিন্ন, অসুস্থতা, আতঙ্ক, সামাজিক অনুষ্ঠান (যেমন বিয়ে) বাতিল বা স্থগিত করা হয়েছে।
-
জাতীয় নাগরিক অধিকার প্রশ্নে এসেছে – শুধু মুসলমান ও বাংলাভাষী হওয়া কি কাউকে সন্দেহভাজন করে তোলার জন্য যথেষ্ট?
পর্যালোচনা:
গুজরাট পুলিশ এ অভিযান চালানোর সময় যা করেছে, তা একটি সাংবিধানিক প্রশ্ন তোলে—নাগরিক অধিকার ও ধর্ম-ভাষা ভিত্তিক বৈষম্য। এটা কেবল বেআইনি অভিবাসন রোধের অভিযান নয়, বরং এক ধরনের প্রোফাইলিং, যেখানে ধর্ম ও ভাষাকে প্রধান বিচারবিভাগ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
এ ধরনের অভিযান:
-
আইনি প্রক্রিয়ার লঙ্ঘন ঘটায়।
-
নাগরিকদের নিরাপত্তাহীনতা ও আতঙ্কে ফেলে।
-
সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করে।