close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

বাংলাদেশে তৈরি হবে ‘ম্যানুফ্যাকচারিং পাওয়ারহাউস’ — চীনা বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টার ঐতিহাসিক আহ্বান..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে চীনা বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তরুণ জনশক্তি, শিল্প সম্ভাবনা ও যৌথ অংশীদারত্ব—সবকিছুর ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বা..

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ শিল্পখাতকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শক্তিশালী করতে চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, "বাংলাদেশকে যদি একটি আঞ্চলিক ম্যানুফ্যাকচারিং হাবে পরিণত করতে হয়, তবে চীনা উদ্যোক্তাদের অবদান অপরিহার্য।"

রবিবার রাজধানীর মাল্টিপারপাস হলে অনুষ্ঠিত চীন-বাংলাদেশ ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। দিনব্যাপী এই সম্মেলনে চীনের ১০০টিরও বেশি কোম্পানির প্রায় ২৫০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

ড. ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশে এমন অনেক খাত রয়েছে যেখানে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্প, জ্বালানি খাত, কৃষিভিত্তিক শিল্প, পাটজাত পণ্য এবং তথ্য প্রযুক্তি খাতে চীনা বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় সুযোগ রয়েছে।”

তিনি বাংলাদেশের যুব জনশক্তিকে সবচেয়ে বড় সম্পদ হিসেবে বর্ণনা করেন। “বর্তমানে বাংলাদেশের অর্ধেক জনসংখ্যার বয়স ৩০ বছরের নিচে। এই বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠী কাজের জন্য প্রস্তুত। তাদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারলে তারা যে কোনো আন্তর্জাতিক মানের উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারবে,” বলেন ড. ইউনূস।

তিনি আরও বলেন, "চীনা বিনিয়োগ শুধু বাংলাদেশকেই লাভবান করবে না, বরং চীনের জন্যও এটি হবে একটি লাভজনক কৌশলগত সিদ্ধান্ত। দুই দেশের যৌথ উদ্যোগেই গড়ে উঠতে পারে একটি আন্তর্জাতিক মানের শিল্পায়িত বাংলাদেশ।"

এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগের সম্ভাবনা তুলে ধরা এবং দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করা।

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও। তিনি বলেন, "বাংলাদেশের অর্থনীতি গত এক দশকে দ্রুত এগিয়েছে। চীনা কোম্পানিগুলোর আগ্রহ রয়েছে এমন একটি উদীয়মান অর্থনীতিতে অংশীদার হতে। আমরা যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী।"

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, “বাংলাদেশ ও চীনের সম্পর্ক কেবল অর্থনৈতিক নয়, এটি একটি গভীর পারস্পরিক আস্থার বন্ধন। এ ধরনের সম্মেলন দুই দেশের সম্পর্কে নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।”

বাংলাদেশ সরকার ও চীন সরকারের যৌথ উদ্যোগে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী এবং নীতিনির্ধারকরা এতে অংশ নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং সম্ভাব্য বিনিয়োগ রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করেন।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশে বড় পরিসরে চীনা বিনিয়োগ প্রবাহিত হওয়ার পথ তৈরি হলো। ভবিষ্যতে এই উদ্যোগ বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম ম্যানুফ্যাকচারিং হাবে পরিণত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

コメントがありません