close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন: কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কূটনৈতিক পদক্ষেপের দাবি

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে কংগ্রেস দল বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর চলমান নির্যাতন বন্ধ করতে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারকে কূটনৈতিকভাবে সক্রিয় হওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেছে
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে কংগ্রেস দল বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর চলমান নির্যাতন বন্ধ করতে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারকে কূটনৈতিকভাবে সক্রিয় হওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেছে। রবিবার সন্ধ্যায়, কলকাতার রাজভবনে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রদেশ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার, সাবেক সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য, এবং দলের নেতা অমিতাভ চক্রবর্তীসহ আরও বেশ কয়েকজন প্রতিনিধিরা। কংগ্রেস দল বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনাগুলোর প্রতি সরকারের গুরুত্ব দেওয়ার দাবি জানায় এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কার্যকর কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানায়। তাদের বক্তব্য, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা প্রশ্নে ভারত সরকারকে আরও সক্রিয় হতে হবে। এছাড়া, সীমান্তে বিএসএফের নজরদারি বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে কংগ্রেস নেতারা বলেন, বাংলাদেশে চলমান অস্থিরতার সুযোগে যাতে কোনো ব্যক্তি ভারতীয় সীমান্ত অতিক্রম না করতে পারে, সেজন্য বিএসএফের তৎপরতা বাড়ানোর জন্য রাজ্যপালের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানান। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয় যে, এই সংকটময় সময়ে রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে এবং জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারের প্রতি সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার দাবিও জানানো হয়েছে, যেন এ ব্যাপারে একটি সুসংহত পরিকল্পনা গ্রহণ করা যেতে পারে। এদিকে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিজয় দিবস উপলক্ষে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সোমবার ফোর্ট উইলিয়ামের ‘বিজয় স্মারক’ থেকে মাটি সংগ্রহ করে তা ইন্দিরা গান্ধীর মূর্তিতে অর্পণ করা হবে। এরপর, বাংলাদেশ ডেপুটি হাই-কমিশনের দিকে একটি মিছিলের আয়োজন করা হবে, যেখানে কংগ্রেসের নেতারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। এভাবে, কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা বিষয়ক পদক্ষেপের দাবি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে, যা দেশটির পরিস্থিতির ওপর গভীর নজরদারি প্রয়োজনীয়তার প্রতি ইঙ্গিত করছে।
Inga kommentarer hittades