close
ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
আশুলিয়ায় বকেয়া বেতনের দাবিতে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ: উত্তেজনা তুঙ্গে!


ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়া শিল্প এলাকায় বকেয়া বেতনের দাবিতে সোমবার সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে নেমেছেন পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। বেতন না পাওয়ার কারণে হতাশায় ভুগছেন তাঁরা, আর এই অবস্থায় কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। জানুয়ারির মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্য শ্রমিকেরা আজ সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করেন এবং কারখানাসংলগ্ন কাঠগড়া-বিশমাইল সড়কের আমতলা মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
শ্রমিকদের দাবি, গত কয়েক মাস ধরে আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকায় অবস্থিত ছেইন অ্যাপারেলস লিমিটেডের কারখানায় নিয়মিত বেতন প্রদান করা হচ্ছে না। কারখানা কর্তৃপক্ষ বারবার নির্ধারিত সময়ে বেতন দিতে ব্যর্থ হয়েছে, যার ফলে শ্রমিকরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। জানুয়ারির বেতন এখনও পরিশোধ হয়নি, ফলে এ মাসে আবারও বেতন নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। শ্রমিকদের দাবি, যতদিন না বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হচ্ছে, ততদিন তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
একজন নারী শ্রমিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, “আমরা কয়েক মাস ধরেই সময়মতো বেতন পাচ্ছি না। প্রতিবারই আন্দোলন করে আমাদের বেতন আদায় করতে হয়। এ মাসের ৯ তারিখে বেতন ছাড়াই ১৩ তারিখ পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর ১৫ তারিখে আবারও ছুটি ঘোষণা করা হয়, এবং সেটা ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই বেতন না দেওয়ার কারণে আমরা আন্দোলন করছি।”
এদিকে, আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া জানিয়েছেন, “শ্রমিকেরা জানুয়ারি মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন। ইতিমধ্যে পুলিশের সঙ্গে কারখানার মহাব্যবস্থাপক (জিএম) যোগাযোগ করেছেন। তিনি এসেছেন এবং সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। আমরা শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি।”
এই পরিস্থিতিতে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বেতন প্রদানের বিষয়টি দ্রুত সমাধান না হলে, শ্রমিকদের বিক্ষোভ আরও তীব্র হতে পারে। কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ এবং হতাশা স্পষ্ট, এবং তারা কোনোভাবেই তাদের বেতন ছাড়াই ফিরে যেতে রাজি নন।
এখন পর্যন্ত, দুপুর ১২টায়ও সড়ক অবরোধ অব্যাহত রয়েছে, এবং পুলিশের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে, শ্রমিকরা আশ্বাস পেলে তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করতে পারেন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
এটি একটি গুরুতর পরিস্থিতি, যেখানে শ্রমিকদের জীবনযাত্রার নিরাপত্তা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন।
Комментариев нет