বিস্তারিত প্রতিবেদন: নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে ‘আওয়ামী লিগ’ নামে নিবন্ধনের আবেদন জমা পড়েছে। উজ্জ্বল রায় নামের এক ব্যক্তি সোমবার (২৪ মার্চ) ইসির সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করেন। নির্বাচন কমিশন এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেয়নি, তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই আবেদন গৃহীত হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দেবে।
নতুন দলের প্রতীক ও কার্যালয়:
আবেদনে দেখা যায়, উজ্জ্বল রায় তার নতুন রাজনৈতিক দলের প্রতীক হিসেবে নৌকা অথবা ইলিশ চেয়েছেন। দলের কার্যালয়ের ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু এভিনিউ’, তবে কোনো সড়ক বা বাড়ির নম্বর সংযুক্ত করা হয়নি। এ নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, এটি কোনো কৌশল নাকি সঠিক তথ্য প্রদান করা হয়নি।
দলের গঠন ও মেয়াদ:
দল গঠনের তারিখ হিসেবে ২৪ মার্চ উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি, দলের কমিটির মেয়াদ ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত থাকবে বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে কোন বছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মেয়াদ থাকবে, সে বিষয়ে কোনো স্পষ্ট উল্লেখ নেই। এ বিষয়টি নিয়েও সংশ্লিষ্ট মহলে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।
উজ্জ্বল রায়ের পরিচয়:
আবেদনকারী উজ্জ্বল রায় নিজেকে দলের সভাপতি হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। তার ঠিকানা দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামে। তার বাবার নাম নরেশ চন্দ্র রায় এবং মায়ের নাম পারুল রায়। রাজনৈতিক মহলে তিনি কতটা পরিচিত, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়ে গেছে।
নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় জটিলতা:
নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে নির্দিষ্টসংখ্যক সদস্য থাকা, সাংগঠনিক কাঠামো স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা, দলের কর্মসূচি ও আদর্শ সম্পর্কে স্পষ্ট ব্যাখ্যা থাকা ইত্যাদি। উজ্জ্বল রায়ের আবেদনে এসব বিষয় কতটা স্পষ্ট তা এখনও জানা যায়নি।
রাজনৈতিক মহলে প্রতিক্রিয়া:
‘আওয়ামী লিগ’ নামে নতুন একটি দলের নিবন্ধনের আবেদন রাজনৈতিক মহলে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। অনেকেই মনে করছেন, এটি উদ্দেশ্যমূলক একটি প্রচেষ্টা হতে পারে। কেউ কেউ বলছেন, এর মাধ্যমে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, কেউ কেউ এটিকে গণতান্ত্রিক অধিকারের চর্চা হিসেবে দেখছেন।
নির্বাচন কমিশনের পরবর্তী পদক্ষেপ:
নির্বাচন কমিশন এই আবেদন গ্রহণ করবে কি না, সেটি নিয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। তবে, কমিশন যদি আবেদনটি বিবেচনা করে, তাহলে তা পর্যালোচনা করতে হবে বিদ্যমান আইন ও বিধিমালার ভিত্তিতে।
সাধারণ জনগণ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এখন নজর রাখছেন নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের দিকে। নতুন এই রাজনৈতিক দল আদৌ নিবন্ধন পাবে কি না, তা দেখার বিষয়।