আল উদেইদ ঘাঁটিতে হা ম লা র ঘটনায় কাতারের কাছে দুঃখ প্রকাশ ই রা নে র..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট কাতারের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন আল উদেইদ হামলার জন্য, নিশ্চিত করেছেন দুই দেশের সম্পর্ক থাকবে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে।..

সোমবার (২৩ জুন) মধ্যপ্রাচ্যের কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান সামরিক ঘাঁটি ‘আল উদেইদ’-এ ইরানের পক্ষ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এই হামলাকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করেছিল। তবে এর পরপরই ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির কাছে ফোন করে হামলার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি স্পষ্ট করেন যে, এই হামলার লক্ষ্য ছিল না কাতার কিংবা তার জনগণ, বরং এটি ছিল মার্কিন সামরিক উপস্থিতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক একটি পদক্ষেপ।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) কাতারের আমিরের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান এই টেলিফোনালাপে উল্লেখ করেন, কাতার সবসময়ই ইরানের কাছে প্রতিবেশী, মুসলিম ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে থাকবে। তিনি বলেন, “আমরা পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই।” এই বিবৃতি কাতার ও ইরানের মধ্যে সুসম্পর্কের প্রতি পুনর্ব্যক্ত প্রতিশ্রুতির স্বরূপ।

ইরানের ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক আগ্রাসনের জবাবে তারা এই শক্তিশালী ও বিধ্বংসী হামলা চালিয়েছে। এই হামলাটি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর আগ্রাসনের প্রতিশোধ হিসেবে আনা হয়েছে। আইআরজিসি জানায়, তারা মোট ১৯টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল, যার মধ্যে ১৮টি কাতারের প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রতিহত করতে সক্ষম হয়।

কাতারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই হামলার ফলে কোনো কাতারির প্রাণহানি বা বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। তবে এটি মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক ও সামরিক অবস্থানে নতুন এক দফার উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। আন্তর্জাতিক মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য সকল পক্ষকে সংযমী হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বৈরিতার এই সামরিক সংঘর্ষ নতুন করে জটিলতার দিকে ধাবিত করছে। এর ফলে কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলো অস্থিতিশীলতার শঙ্কায় রয়েছে। কাতার নিজেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক ভূমিকা হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে, যেখানে তারা শান্তি স্থাপনে মধ্যস্থতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।

মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এখন সময়ের এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইরানের এই হামলা ও কাতারের সঙ্গে তার আপস-মীমাংসার প্রচেষ্টা সেই চিত্রেরই অংশ। পরবর্তী দিনগুলোতে দুই দেশের সম্পর্ক এবং অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি কেমন হবে, সেটাই এখন আন্তর্জাতিক মহলের নজরের কেন্দ্রে।

לא נמצאו הערות