close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

আল হিলালের বিপক্ষে সুযোগ নষ্টে গার্দিওলার হতাশা

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বল দখল ও আক্রমণে আধিপত্য ছিল, কিন্তু ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতায় ক্লাব বিশ্বকাপ থেকে নাটকীয় বিদায় নিল ম্যানচেস্টার সিটি, হতাশ গার্দিওলা বললেন—'সুযোগ নষ্টই কাল হলো!'..

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে এক ঐতিহাসিক অঘটনের জন্ম দিল সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল। ফুটবল বিশ্লেষকরা যখন ম্যানচেস্টার সিটির সহজ জয় ধরেই নিয়েছিলেন, তখনই বাজিমাত করল ইয়াসিন বোনুর দুর্দান্ত গোলকিপিং এবং আল হিলালের কার্যকরী ফুটবল।

ফ্লোরিডার মাটিতে মঙ্গলবার রাতের উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচটি গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে, আর সেখানেই ঘটে যায় চমক। ৪-৩ গোলের রোমাঞ্চকর জয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলো থেকে ম্যানচেস্টার সিটিকে বিদায় করে দেয় আল হিলাল।

ম্যাচে গার্দিওলার দল বল দখলে আধিপত্য বিস্তার করে—৬৯ শতাংশ সময় বল ছিল তাদের পায়ে। নেয় ৩০টি শট, যার মধ্যে ১৪টি লক্ষ্যে ছিল। কিন্তু সেই সব আক্রমণকে ব্যর্থ করে দেন আল হিলালের প্রাচীরসম গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনু।

অন্যদিকে, সুযোগ কম পেয়েও সেটিকে কাজে লাগিয়ে ম্যাচ নিজের করে নেয় আল হিলাল। ১৭টি শট নিয়ে ৬টি ছিল লক্ষ্যে, আর সেখান থেকেই আসে ৪টি গোল—যা এক কথায় ছিল বিশ্বমানের ফিনিশিংয়ের নিদর্শন।

ম্যাচ শেষে পেপ গার্দিওলার কণ্ঠে ফুটে ওঠে হতাশা ও বিস্ময়। তিনি বলেন,প্রথমার্ধেই আমরা একাধিক সুযোগ তৈরি করেছিলাম। আমার বিশ্বাস ছিল, আমরা সহজেই পরের ধাপে যাব। কিন্তু ফুটবলে শুধু বল দখলই যথেষ্ট নয়, গোল করতে হয় কার্যকরভাবে। আজ সেটা হয়নি।

নতুন ফরম্যাটে ক্লাব বিশ্বকাপে এই প্রথম অংশ নেয় ম্যানচেস্টার সিটি। গ্রুপ পর্বে তাদের পারফরম্যান্স ছিল দারুণ—টানা তিন জয়ে করেছিল ১৩ গোল, হজম করেছিল মাত্র ২টি। কিন্তু নকআউট পর্বে এসেই ছন্দপতন।

গার্দিওলার কোচিং ক্যারিয়ারে ক্লাব বিশ্বকাপে এটাই প্রথম বড় ধাক্কা। এর আগে বার্সেলোনা ও বায়ার্ন মিউনিখের কোচ হিসেবে ক্লাব বিশ্বকাপে ১১ ম্যাচ অপরাজিত ছিলেন তিনি, হজম করেছিলেন মাত্র ৪ গোল। এবার এক ম্যাচেই হজম করতে হলো সেই পরিমাণ গোলই—১২০ মিনিটে ৪টি!

আল হিলাল এই জয় দিয়ে শুধু সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয়নি, বরং প্রমাণ করে দিয়েছে যে অর্থ আর তারকার বাইরেও ফুটবল মাঠে সাহসী খেলা ও সুযোগ কাজে লাগানোই বড় অস্ত্র। ইয়াসিন বোনুর নায়কোচিত পারফরম্যান্স আজ দীর্ঘদিন মনে রাখবে ফুটবল বিশ্ব।

এই হারের পর প্রশ্ন উঠেছে—সিটি কি এত আক্রমণ করেও গোল করতে না পারার সমস্যায় ভুগছে? নাকি গার্দিওলার স্ট্র্যাটেজিতে কোথাও ফাঁক ছিল? তবে একথা নিশ্চিত, আল হিলালের মতো ক্লাব ফুটবলের মানচিত্রে নতুন করে আলো ফেলেছে।

ফুটবল যে কখনও কখনও পরিসংখ্যানের বাইরে গিয়ে নাটক লিখে, তার আরেকটি বড় উদাহরণ হয়ে রইল এই ম্যাচ। গার্দিওলার দল টেকনিক্যালি যতই আধুনিক হোক না কেন, সুযোগ কাজে না লাগাতে পারলে, জয় ধরা দেয় না—এটাই বাস্তব।

Keine Kommentare gefunden


News Card Generator