১ জুলাই ২০২৫: নগরবাসীর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য, সাশ্রয়ী ও মানসম্মত করার লক্ষ্যে আজ থেকে নগর স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের পুরো দায়িত্ব নেওয়া শুরু করল ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। দীর্ঘদিন ধরে আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রজেক্টের আওতায় পরিচালিত নগর মাতৃসদন, স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং স্যাটেলাইট সেন্টারসমূহ এখন থেকে ডিএনসিসির নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হবে।
১৯৯৮ সাল থেকে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের মেয়াদ ৩০ জুন ২০২৫ তারিখে শেষ হওয়ায়, ১ জুলাই থেকে স্বাস্থ্যসেবা সরাসরি ডিএনসিসির তত্ত্বাবধান ও ব্যবস্থাপনায় এসে গিয়েছে। ডিএনসিসির মাধ্যমে নগরবাসী পাবেন ২১টি ওয়ার্ডে বিস্তৃত ৬টি নগর মাতৃসদন, ৩০টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং ৬০টি স্যাটেলাইট সেন্টার থেকে উন্নত ও টেকসই স্বাস্থ্যসেবা।
ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ জানায়, স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার এবং সেটি নিশ্চিত করতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় নাগরিকদের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া হবে সর্বোচ্চ গুণগত মানে ও স্বচ্ছতায়। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় এই নতুন দায়িত্ব গ্রহণের ফলে দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবার সুবিধা পাবে আরও সহজে।
নগর স্বাস্থ্যসেবার এই পুনর্গঠনের ফলে নাগরিকরা পাবেন উন্নত স্বাস্থ্যপরামর্শ, মাতৃত্বকালীন সেবা, শিশু স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য প্রাথমিক চিকিৎসা সুবিধা হাতের নাগালে। ডিএনসিসি আশা করে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে এবং নগরবাসীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হবে।
এছাড়া, ডিএনসিসির এই নতুন উদ্যোগ নগর স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে যেখানে স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। নগরবাসীর সেবায় স্বাস্থ্যকর্মী, হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মানোন্নয়নের পাশাপাশি অবকাঠামো উন্নয়নেও বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে।
আগামী দিনে নগর স্বাস্থ্যসেবার এই মডেল থেকে দেশের অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনগুলোও শিক্ষণীয় বিষয় গ্রহণ করবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের এই নতুন অধ্যায় খুলে দিচ্ছে নগরের স্বাস্থ্যপরিসেবায় টেকসই ও সুষ্ঠু সেবা নিশ্চিত করার দরজা।