close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

আগামী সপ্তাহের যেকোনও সময় গাজায় যুদ্ধবিরতি, ট্রাম্প

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহের যেকোনো সময় গাজায় যুদ্ধবিরতি হতে পারে; ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সঙ্কট সমাধানে আলোচনার সম্ভাবনা জোরদার।..

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার এক গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহের যেকোনো সময় গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে। তিনি জানান, তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বসে গাজা পরিস্থিতি এবং ইরানের বিষয়ে যে সাফল্য অর্জিত হয়েছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন। ট্রাম্পের ভাষায়, “আমরা জিম্মিদের নিরাপদ ফেরতের জন্য কাজ করছি।”

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়, যা বর্তমানে অব্যাহত রয়েছে। এই সংঘাতের ফলে প্রায় আড়াই বছর ধরে গাজায় ৫৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন এবং লাখ লাখ মানুষ আহত হয়েছেন। যুদ্ধের কারণে গাজার বিস্তীর্ণ এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, যেখানে হাজার হাজার মানুষ এখনও আটকা পড়ে রয়েছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অব্যাহত হামলার কারণে অনেক হতাহত ও আহত ব্যক্তির উদ্ধার করা যাচ্ছে না।

ট্রাম্পের এই ঘোষণাকে আন্তর্জাতিক সমাজ শান্তির পথে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখছে। যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা গাজার সংকট সমাধানে এক আশার আলো সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সংঘাত সাময়িক হলেও স্থগিত হলে মানবিক পরিস্থিতি কিছুটা হলেও স্বস্তিতে আসবে।

তবে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার জন্য রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ কম নয়। ইসরায়েল, ফিলিস্তিন, এবং বিশ্ব মহলের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় ও আন্তরিকতার প্রয়োজন রয়েছে। ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর বৈঠক এমন একটি মঞ্চ হতে পারে, যেখানে দীর্ঘদিন ধরে চলা সংঘাতের সমাধানের মূল পথ বের হবে।

সংঘর্ষের কারণে গাজার হাসপাতাল, স্কুল, বাসস্থান ও অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাজার হাজার ফিলিস্তিনি পরিবারের জন্য খাবার, পানি, ও চিকিৎসাসেবার তীব্র অভাব দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক দাতারা মানবিক সাহায্যের জন্য তৎপর হলেও, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।

আসন্ন সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণার সম্ভাবনা পৃথিবীজুড়ে শান্তির প্রত্যাশা জাগিয়েছে। তবে এই যুদ্ধবিরতি স্থায়ী হবে কি না, তা নির্ভর করবে রাজনৈতিক সংকট ও কূটনৈতিক উদ্যোগের সফলতার উপর। ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর বৈঠক এই দ্বন্দ্ব সমাধানের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে বিশ্ববাসী।

Tidak ada komentar yang ditemukan


News Card Generator