close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

আ.লীগের একটি পরিবারে ৩৬ জন এমপি ছিলেন : বিএনপি নেতা সিনহা

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
সাবেক স্বাস্থ্যের প্রতিমন্ত্রী ও মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সিনহা দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগের একটি পরিবারে একসঙ্গে ৩৬ জন এমপি ছিলেন এবং তাদের আমলে সীমাহীন দুর্নীতি হয়েছে। এসব নেতারা এ..

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর শীর্ষস্থানীয় নেতা এবং সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মিজানুর রহমান সিনহা এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে দেশের রাজনীতিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন। তিনি বলেন, "আওয়ামী লীগের একটি মাত্র পরিবারে একসঙ্গে ৩৬ জন সংসদ সদস্য (এমপি) ছিলেন। তাদের আমলে দেশের সম্পদ লুটপাট করে সীমাহীন দুর্নীতির পাহাড় গড়ে তোলা হয়েছে। এখন তারা কেউ আর দেশে নেই—ভারতবর্ষে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।

শুক্রবার (২০ জুন) দুপুরে মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার কলমা গ্রামে নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি, যুবদল, মহিলা দল এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা-কর্মী।

সিনহা বলেন, "আওয়ামী লীগের উত্থান হয়েছিল, কিন্তু পতনও হয়েছে। সময়ের সঙ্গে রাজনীতি পরিবর্তন হয়। তাই আমরাও যেন শিক্ষা নিই। জনগণ সব দেখে। কারা দেশের জন্য কাজ করেছে, আর কারা নিজের পকেট ভরেছে—এটা সাধারণ মানুষ বুঝে ফেলেছে।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা এখনও জানি না কবে নির্বাচন হবে, কারণ কোনো নির্ধারিত দিনক্ষণ নেই। তবে আমার মতে, আগামী ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হওয়া উচিত, কারণ দেশের জনগণ পরিবর্তন চায়, শান্তি চায়, উন্নয়ন চায়।

স্থানীয় উন্নয়ন বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মিজানুর রহমান সিনহা বলেন, "মুন্সীগঞ্জের দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন হয়নি। কিছু উন্নয়ন হয়তো হয়েছে, তবে সেটা বিএনপির আমলে। আওয়ামী লীগ তাদের দুর্নীতির ধারা অব্যাহত রেখেছে। এবার যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে, আমরা যথাযথ উন্নয়ন করবো। আমি যদি নির্বাচিত হই, দলমত নির্বিশেষে সবার জন্য কাজ করবো।"

তিনি আরও বলেন, “আমার রাজনীতিতে আসা যেন এক দুর্ঘটনার মতো। আমি রাজনীতি করবো কি না, সেটা কখনো ভাবিনি। কিন্তু এখন জনগণ আমাকে চায়। তারা আমাকে বিশ্বাস করে। তাদের প্রত্যাশা পূরণ করাই আমার দায়িত্ব।

সিনহা দৃঢ় কণ্ঠে ঘোষণা দেন, “আমি ধানের শীষ প্রতীকেই নির্বাচন করবো। এটা আমার বিশ্বাস, আমার পরিচয়। মুন্সীগঞ্জ জেলাকে আমি এমন একটি জায়গায় নিতে চাই, যেখানে উন্নয়ন আর গণতন্ত্র পাশাপাশি চলবে।

এই মতবিনিময় সভায় সিনহার সঙ্গে ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য আতোয়ার হোসেন বাবুল, মো. শহীদুল ইসলাম শহীদ কমিশনার, মেজর (অব.) মাসুদুর রহমান কাইয়ুম, হাবিবুর রহমান অপু চাকলাদার, সেলিনা আক্তার বীনা, পাপিয়া ইসলাম, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান দেওয়ান, জেলা মহিলা দলের সদস্য সচিব বিউটি আক্তার তিষা এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. শহীদুল ইসলামসহ আরও অনেক নেতা।

এই বক্তব্য শুধু এক ব্যক্তি বা একটি দলের অবস্থান নয়—এটি দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দুর্নীতির অভিযোগ এবং জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন। মিজানুর রহমান সিনহার এই মন্তব্য হয়তো সামনের নির্বাচনে একটি বড় রাজনৈতিক বার্তা হয়ে উঠবে।

No se encontraron comentarios