close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিশ্বের ১৩৭টিরও বেশি দেশে ৮৪ কোটি মার্কিন ডলারের আইসিটি পণ্য রপ্তানি করেছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে বেসিস আয়োজিত "বাংলাদেশ: দ্য ইমার্জিং আইসিটি পাওয়ার হাউজ" সেমিনারে এ সাফল্যের কথা তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের পলিসি অ্যাডভাইজার ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জাইকার বাংলাদেশ প্রধান ইচিগুচি তোমোহিদে, ইপিবি মহাপরিচালক বেবী রানী কর্মকার, জেট্রোর প্রধান প্রতিনিধি ইউজি আন্দো এবং কোট্রার মহাপরিচালক সামসু কিম। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন বেসিস সহায়ক কমিটির সদস্য ফিদা হক।
আইসিটি খাতের অগ্রগতি এবং ভবিষ্যৎ লক্ষ্য
বেসিস প্রশাসক ড. মুহম্মদ মেহেদী হাসান তার বক্তব্যে জানান, ১৯৯৮ সালে ১৮টি সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরু করা বেসিস বর্তমানে ২,৬৫০টিরও বেশি সদস্যের একটি শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। তিনি নতুন উদ্ভাবন ত্বরান্বিত করতে এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে স্টেকহোল্ডারদের সমন্বিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানান।
মূল বক্তব্যে বেসিস সহায়ক কমিটির চেয়ারম্যান রাফেল কবির বলেন, "বাংলাদেশের আইটি খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে দক্ষ জনশক্তি তৈরি জরুরি। মেধাবী যুবশক্তির সঠিক প্রশিক্ষণ ও দিকনির্দেশনার মাধ্যমে আমরা বিশ্ব আইটি বাজারে নেতৃত্ব দিতে পারি।"
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব উল্লেখ করেন, "২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডাটা আর্কিটেকচার (বিএনডিএ) বাস্তবায়ন, আইসিটি মাস্টারপ্ল্যান রূপকল্প প্রণয়ন এবং হাই-টেক পার্কগুলোর সংস্কার পরিকল্পনা রয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ৬-৮ মিলিয়ন দক্ষ আইটি পেশাদার তৈরি করার লক্ষ্যেও কাজ চলছে।"
ডিজিটাল প্রকল্পের সাফল্য
ইপিবি মহাপরিচালক বেবী রানী কর্মকার জানান, "প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এ বছরের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় (ডিআইটিএফ) প্রবেশ প্রক্রিয়া দ্রুততর হয়েছে।" তিনি বলেন, ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার গুরুত্ব রয়েছে।
বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশের অবস্থান
সমাপনী বক্তব্যে বেসিস সহায়ক কমিটির সদস্য ফৌজিয়া নিগার সুলতানা বলেন, "আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সহযোগিতায় আমরা উচ্চমানের এবং সাশ্রয়ী ডিজিটাল সমাধানের শীর্ষস্থানীয় সরবরাহকারী হতে চাই।" ই-ট্যাক্স ফাইলিং সিস্টেম, ভূমি নামজারি প্রক্রিয়া এবং টেলিহেলথ কন্টাক্ট সেন্টারের মতো প্রকল্পের বাস্তবায়ন বেসিস সদস্যদের দক্ষতার উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়।
এই সেমিনার বেসিস এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হয়, যা দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রগতি ও সম্ভাবনা সম্পর্কে ইতিবাচক বার্তা দিয়েছে।
कोई टिप्पणी नहीं मिली