৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম: জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনপ্রধানের অপসারণ দাবি প্রশাসন ক্যাডারের

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীর পদত্যাগ বা অপসারণ দাবি করেছেন প্রশাসন ক্যাডারের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তারা। তাঁরা হু
আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীর পদত্যাগ বা অপসারণ দাবি করেছেন প্রশাসন ক্যাডারের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তারা। তাঁরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, কমিশন যদি কোনো ‘অযাচিত’ সুপারিশ করে, তাহলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন সম্প্রতি এক মতবিনিময় সভায় ঘোষণা দেয়, সরকারের উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ এবং অন্যান্য ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ কোটা রাখার সুপারিশ করা হবে। এই ঘোষণার পর থেকেই প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা একে বৈষম্যমূলক ও ষড়যন্ত্রমূলক উল্লেখ করে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। আজ (বুধবার) রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনে এক যৌথ প্রতিবাদ সভায় কর্মকর্তারা বলেন, “উচ্চ আদালতের রায়ে নির্ধারিত নিয়মকে ভাঙার এ ধরনের প্রস্তাব অনাকাঙ্ক্ষিত।” সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা, ঢাকার জেলা প্রশাসক এবং অনলাইনে অংশ নেন দেশের অন্যান্য জেলার কর্মকর্তারা। প্রতিবাদ সভার মূল দাবি: ১. জনপ্রশাসন কমিশনপ্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীর অবিলম্বে অপসারণ। ২. প্রশাসনের সব পদ প্রশাসন ক্যাডারের জন্য সংরক্ষণ। ৩. ‘বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস’ প্রতিষ্ঠা। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিসিএস প্রশাসন কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি এ বি এম আব্দুস সাত্তার। তিনি বলেন, "আমরা জানি কিভাবে অপসারণ করতে হবে, যদি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ না করা হয়।" কর্মকর্তারা নিজেদের ছয় দফা ঘোষণা করেন, যেখানে কমিশনের ‘অযাচিত সুপারিশ’ প্রতিহত করার আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে ঘোষণা করা হয়, ৪ জানুয়ারি মহাসমাবেশ আয়োজন করা হবে। অন্য ক্যাডারের পাল্টা কর্মসূচি: অন্যদিকে, অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা কোটা নিয়ে নিজেদের দাবিতে গতকাল (মঙ্গলবার) কলমবিরতি পালন করেছেন। তাঁরা দাবি করেছেন, সব ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এই প্রতিবাদ এবং পাল্টা কর্মসূচির কারণে প্রশাসন ক্যাডার এবং অন্যান্য ক্যাডারের মধ্যে বিভাজন আরও গভীর হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সরকারকে দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। পরিস্থিতির সারসংক্ষেপ: বর্তমান আন্দোলন শুধু কোটা নিয়ে নয়, এটি প্রশাসনিক কাঠামোতে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে। সরকারের উচিত সব পক্ষের দাবি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে সবার জন্য সমতাপূর্ণ এবং কার্যকর সমাধান বের করা।
Tidak ada komentar yang ditemukan