close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

২০৩৯ সালের মধ্যে সুইজারল্যান্ডকে পেছনে ফেলবে বাংলাদেশ: বিশ্বে ২১তম অর্থনীতি

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বাংলাদেশের বিস্ময়কর অগ্রগতি বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে লন্ডনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ (সিইবিআর) সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন
বাংলাদেশের বিস্ময়কর অগ্রগতি বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে লন্ডনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ (সিইবিআর) সম্প্রতি একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০৩৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) হবে বিশ্বের ২১তম বৃহৎ। একই সময়ে সুইজারল্যান্ড ২২তম এবং সুইডেন থাকবে ৩০তম অবস্থানে। বর্তমানে ২০২৪ সালে ৪৩৪ বিলিয়ন ডলারের জিডিপি নিয়ে ১৮৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে ৩৭তম স্থানে। তবে ২০৩৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ১৬ ধাপ এগিয়ে যাবে। অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় উত্থান সিইবিআরের প্রকাশিত "ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লিগ টেবিল ২০২৫" প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে বাংলাদেশ হবে ৩৫তম। ২০২৯ সালে ২৭তম। ২০৩৪ সালে ২৩তম। এরপর ২০৩৯ সালে পৌঁছে যাবে ২১তম স্থানে। মাথাপিছু জিডিপির চ্যালেঞ্জ অর্থনৈতিকভাবে বড় অর্জন সত্ত্বেও বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি চ্যালেঞ্জ হিসেবে থেকে যাবে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০৩৯ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি দাঁড়াবে মাত্র ৮,০৬১ ডলার। এ অবস্থানে ১৮৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান হবে ১২৩তম, যা বৈশ্বিক তালিকার নিচের দিক থেকে ৬৬তম। বিশ্ব অর্থনীতির ভবিষ্যৎ চিত্র সিইবিআরের তথ্যমতে, ২০৩৯ সালেও বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকবে চীন। ভারতের অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য; দেশটি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে জায়গা করে নেবে। বর্তমানে ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। পোশাক খাত ছাড়িয়ে নতুন সাফল্য বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির মূল কারণ হিসেবে সিইবিআর উল্লেখ করেছে পোশাকশিল্পের পাশাপাশি ওষুধ ও ইলেকট্রনিক্স খাতের সফল বহুমুখীকরণ। অবকাঠামোতে ব্যাপক বিনিয়োগ এবং ক্রমবর্ধমান জনমিতিক লভ্যাংশ (ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড) দেশের এই অগ্রগতি সম্ভব করেছে। সিইবিআরের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বর্তমান মার্কিন ডলারে জিডিপির ভিত্তিতে এই র‍্যাংকিং তৈরি করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির একটি শক্তিশালী চিত্র তুলে ধরছে। ২০৩৯ সালকে সামনে রেখে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির এই বিশ্লেষণ দেশটির জন্য এক উজ্জ্বল ভবিষ্যতের বার্তা বহন করছে।
Aucun commentaire trouvé