close
লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
বাংলাদেশের জন্য ২০২৪ সাল ছিল এক যুগান্তকারী বছর। জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া গণ-অভ্যুত্থান দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটকে আমূল বদলে দিয়েছে। ছাত্র, জনতা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ঐক্যবদ্ধ অংশগ্রহণে এই গণ-অভ্যুত্থান বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। এই সময়ের ঘটনাবলি সম্পর্কে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, “এত বড় গণ-অভ্যুত্থান, এত শহীদ, এত আহত। আমরা এক ঐতিহাসিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বর্তমান সময়ে এসে পৌঁছেছি। এটি আমাদের জন্য একটি নতুন স্বপ্ন ও নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে।”
২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান: ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা অধ্যায়
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থান ছিল দেশের জন্য একটি বিশাল টার্নিং পয়েন্ট। ছাত্র, জনতা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সক্রিয় ভূমিকা জাতির নতুন ভবিষ্যতের সূচনা করে। এই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন, তাদের প্রতি জাতি চিরদিন কৃতজ্ঞ থাকবে। জেনারেল ওয়াকার বলেন, “গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যেতে হলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু জাতীয় স্বার্থে ঐক্যমত্য প্রয়োজন। তাহলেই আমরা স্থায়ী শান্তি ও গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে পারব।”
২০২৫ সালের প্রত্যাশা: দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও উন্নয়নের পথ
নতুন বছর ২০২৫ সালে জাতি যে প্রত্যাশা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, তা স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন জেনারেল ওয়াকার। তিনি বলেন, “আমরা শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাই। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য এ দুটি বিষয় খুবই জরুরি। উন্নয়ন ও সুশাসনের জন্য সহিষ্ণুতা এবং জাতীয় সমঝোতার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের সবার মধ্যে একটি ঐকমত্য গড়ে তুলতে হবে। সবাই যদি একসঙ্গে কাজ করে, তবে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি অর্জন সম্ভব। আমরা এমন একটি পরিবেশ চাই যেখানে মতবিরোধ থাকলেও জাতীয় স্বার্থ সবার আগে থাকবে।”
সেনাবাহিনী ও গণমাধ্যমের সম্পর্ক: নতুন যুগের সূচনা
সাম্প্রতিক সময়ে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সংবাদ ব্রিফিং ও জেনারেল ওয়াকারের বক্তব্য নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, আপনারা দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সংবাদ পরিবেশন করছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন। তাই আমি আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।”
সশস্ত্র বাহিনীর গণমাধ্যমের সঙ্গে সম্পর্ক বিষয়ে অতীতে যে অবিশ্বাস ছিল, তা ভেঙে নতুন একটি অধ্যায় শুরু হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন। “আমরা মিডিয়ায় কথা বলার বিষয়ে দ্বিধাগ্রস্ত থাকতাম। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। সেই বিভ্রান্তি দূর করতেই আমাদের মাঝে মাঝে মিডিয়ার সামনে আসতে হচ্ছে,” যোগ করেন তিনি।
একটি নতুন সময়ের শুরু
২০২৪ সালের ঘটনাবলি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের বক্তব্যে স্পষ্ট যে, বাংলাদেশ এখন একটি নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশের জনগণ যে শক্তি ও ঐক্যের পরিচয় দিয়েছে, তা আগামী দিনের জন্য বড় একটি অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। ২০২৫ সালের জন্য দীর্ঘস্থায়ী শান্তি, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জাতীয় ঐক্যের প্রত্যাশায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এক নতুন সময়ের পথে।
Aucun commentaire trouvé