close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

২০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে ভাগ্নের বাড়িতে আগুন দিলেন মামা

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
পাবনার সুজানগরে ফ্রিল্যান্সার ভাগ্নের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে দোতলা নির্মাণাধীন বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিলেন মামা টুটুল মোল্লা। স্থানীয়ভাবে পরিচিত মাদক ব্যবসায়ী টুটুলের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। ..

পাবনার সুজানগর উপজেলার হুদারপাড়া গ্রামে ঘটেছে এক চাঞ্চল্যকর ও হৃদয়বিদারক ঘটনা। ‘চাঁদাবাজি না পেয়ে ভাগ্নের বাড়িতে আগুন’—শিরোনামে যে বিষয়টি প্রথমে কল্পকাহিনি মনে হতে পারে, বাস্তবে তা ছিল ভয়াবহ।

ঘটনার মূল হোতা একজন আপন মামা, যার নাম টুটুল মোল্লা। তিনি ওই গ্রামেরই বাসিন্দা এবং এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। এক সময় আওয়ামী লীগের পরিচয় দিলেও বর্তমানে নিজেকে বিএনপি নেতা বলে দাবি করেন।

ঘটনাটি ঘটে ২৬ জুন দিবাগত রাত ৩টার দিকে। ইমন মাহমুদ নামের এক তরুণ ফ্রিল্যান্সার নিজের উপার্জিত অর্থে দীর্ঘ এক বছর ধরে একটি দোতলা ডুপ্লেক্স বাড়ি নির্মাণ করে আসছিলেন। হঠাৎ রাতের অন্ধকারে সেই বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় পুড়ে গেছে প্রায় ৭-৮ লাখ টাকার আসবাবপত্র, ইলেকট্রনিক সামগ্রী, স্যানিটারি মালামাল, মূল্যবান কাগজপত্র এবং পানি তোলার মোটর। ভুক্তভোগীর ভাষ্যমতে, আগুন লাগানোর পর অভিযুক্তরা অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে করতে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে স্থান ত্যাগ করে।

ভুক্তভোগী ইমন মাহমুদের অভিযোগ, চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি তার মামা টুটুল মোল্লা তার কাছে সরাসরি ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় তিনি প্রায়ই তাকে হুমকি দেন, গালাগালি করেন, এমনকি প্রাণনাশের ভয় দেখান।

এখানেই শেষ নয়। টুটুল মোল্লা তার নির্মাণকাজে নিয়োজিত শ্রমিকদেরও মারধর করে এবং নির্মাণ বন্ধ করে দেন। স্থানীয় কয়েকজনের উপস্থিতিতে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হলেও শেষ পর্যন্ত সংঘটিত হয় ভয়ঙ্কর অগ্নিসংযোগের ঘটনা।

ঘটনার পরদিন ২৭ জুন শুক্রবার ইমন মাহমুদ সুজানগর থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

আমার নিজের মামা আমার কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেছে। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সে আমার স্বপ্নের ঘরে আগুন দেয়। এর চেয়ে দুঃখজনক আর কী হতে পারে?”

সে আমাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করছে। আমার পরিবারকে বাসা ছাড়ার হুমকি দিয়েছে। এমনকি আমার সন্তানকে অপহরণ করার হুমকিও দিয়েছে। আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি এবং তার দ্রুত গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।

এই ঘটনার পর অভিযুক্ত টুটুল মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। স্থানীয়রা বলছেন, তিনি প্রায়ই রাজনৈতিক দল পরিবর্তন করে সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করেন। এক সময় আওয়ামী লীগপন্থী থাকলেও বর্তমানে বিএনপি নেতা পরিচয়ে এলাকায় চলাফেরা করছেন।

কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি