ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
- National
- Politics
- International
- Crime
- Law-Court
- Entertainment
- Religion and Education
- District News
- Exclusive
- Sports News
- Agriculture-Economy and Trade
- Interview
- Ramadan
- Documentary
- Health & Beauty
- Earn Money Online
- Kids
- Tech Review
- Book Review
- History
- Tour and Travel
- Stock Market
- Bangladesh
- Stock Video Footage
- Podcast
- Other
বড়াইগ্রামে বড়াল খাল খননে প্রকল্পের মেয়াদ উত্তীর্ণের আগেই অপরিকল্পিতভাবে তড়িঘড়ি কাজ সম্পন্নের চেষ
বড়াইগ্রামে বড়াল খাল খননে প্রকল্পের মেয়াদ উত্তীর্ণের আগেই অপরিকল্পিতভাবে তড়িঘড়ি কাজ সম্পন্নের চেষ্টা; জনদুর্ভোগ সৃষ্টি
বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি:
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার বড়াল নদীর প্রায় পাঁচ কিলোমিটার অংশে ১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বড়াইগ্রামের বনপাড়া পৌরসভা। স্থানীয়রা বলছেন, ড্রেজিং নামে প্রকল্পে চলছে অনিয়ম এবং নদী শাসনের অপচেষ্টা। এতে সৃষ্টি হয়েছে জনদুর্ভোগ। ভেঙ্গে যাচ্ছে নদীর পাড়, রাস্তা সহ বাড়িঘর।
জানা গেছে, ‘বিএমডব্লিউএসএসপি’ প্রকল্পের আওতায় বনপাড়ার হারোয়া মিঠুর বাড়ি থেকে নটাবাড়িয়া বকুলতলা পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার বড়াল নদী ও হারোয়া থেকে বিলচিনিডাঙ্গা পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার জিয়া খাল সংস্কার করছে পৌর কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে ২০২৪ সালের ১৫ এপ্রিল। তবে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে কাজ শুরু হয়ে দীর্ঘ ১ বছর অতিবাহিত হলেও সেই কাজ এখনও সম্পন্ন হয়নি। এখন প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে অক্টোবর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। তাই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কাজ সম্পন্ন করার জন্য চলছে বর্ষার মধ্যেই অপরিকল্পিতভাবে যত্রতত্র নদী নিষ্কাশনের কাজ। এতে সৃষ্টি হয়েছে জনদুর্ভোগ। নদীর দুই পাশের মানুষ পড়েছে বিপাকে। একটু বৃষ্টি হলেই ভেঙ্গে যাচ্ছে নদীর পাড়, বাড়িঘর সহ চলাচলের পাকা-কাচা রাস্তা।
এ বিষয়ে স্থানীয় জনগন জানান, এই অতিবৃষ্টির মধ্যে এভাবে কাজ করার ফলে এ সকল ভাঙ্গনের সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা বারবার বলেও পৌরসভার কতৃপক্ষ আমাদের কথা শুনেননি। নিজেদের মত কাজ করে চলে গেছে। এখন যে ক্ষতি হচ্ছে এই ক্ষতির শিকার হচ্ছি আমরা।
তবে বনপাড়া বাজার থেকে আটুয়া কদুর মোড় পর্যন্ত অপরিকল্পিতভাবে কাজ করায় দুপাশের শতাধীক বাড়িঘর ও পাকা রাস্তা ভেঙ্গে প্রায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান এনসিপি নেতা আমির হামজা।
জনদুর্ভোগ স্বরেজমিনে পরিদর্শনে এসে বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ অক্টোবর মাসে শেষ হওয়ার কারণেই পৌর কর্তৃপক্ষ বর্ষার মধ্যেই কাজটি সম্পূর্ণ করছে। আর এই সময় কাজের ফলে যে ক্ষতি হচ্ছে তা তালিকার মাধ্যমে ক্ষতি পূরণের চেষ্টা করছি।