কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
Shorts Créer

মাত্র ১৮ বছর বয়স—জীবনের শুরু, স্বপ্ন গড়ার সময়। অথচ এ বয়সেই এক তরুণ এমন এক নির্মম সিদ্ধান্ত নিল, যা ভাবলেও হৃদয় কেঁপে ওঠে। আত্ম*হত্যা—এটা কোনো সমাধান নয়, বরং এক চরম পরিণতি। কিন্তু কী এমন কষ্ট ছিল তার জীবনে, যা তাকে এত বড় এক নিকৃষ্ট পথ বেছে নিতে বাধ্য করলো?
ছেলেটির বাবা নেই। পরিবারে ছিল শুধু মা ও এক বোন। সংসারের বড় সন্তান হিসেবে হয়তো দায়িত্বের ভারটাই বেশি অনুভব করতো। কে জানে—কোনো চাপ, অপমান, হতাশা বা অভাব তাকে ভিতর থেকে এমনভাবে ভেঙে দিয়েছে, যার বোঝা সে আর বহন করতে পারেনি।
সে নিজের জীবনটা শেষ করে দিলো ঠিকই—কিন্তু পেছনে রেখে গেলো এক অসহায় মা, যার বুকটা আজ ফেটে চৌচির, আর এক ছোট বোন, যার ভরসার একমাত্র মানুষটাকেও কেড়ে নিলো এই নিষ্ঠুর বাস্তবতা। সে নিজের জীবন দিয়ে নিজের প্রিয়জনদেরও যেন জীবন্ত লাশ বানিয়ে গেলো।
জানি না, কী সেই অজানা কষ্ট, কিন্তু এটুকু জানি—কাউকে হারানোর ব্যথা সারা জীবনের জন্য রয়ে যায়। জীবন যতই কঠিন হোক, বেঁচে থাকার লড়াইটাই সবচেয়ে বড় সাহস। কেউ যদি আগে পাশে দাঁাতাতো, একটু বোঝাতো—হয়তো আজ গল্পটা অন্যরকম হতো।


শ্যামনগরে শতবর্ষী গিরিধরের চড়ক পূজা
শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবনের কোলঘেঁসা মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের জেলেখালি গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় শতবর্ষ কাল পূর্বে চড়ক পূজা কেন্দ্র করে ছোট্ট একটি পরিচয়ের একটি মেলা হতো, শেষ পর্যন্ত গিরিধারী চড়ক মেলা নামে পরিচিতি লাভ করেছে। বিভিন্ন সময়ের পালা বদলে বাংলা নববর্ষ ও দক্ষিণবাংলায় গিরিধারী চড়ক মেলায় এলাকার মানুষের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা বয়ে চলেছে দীর্ঘকাল। চৈত্র সংক্রান্তের শেষে অনুষ্ঠিত হচ্ছে গিরিধারী চড়ক মেলা। দক্ষিণবাংলায় শ্যামনগরে গিরিধারী সড়ক মেলা ইতিহাস খ্যাত। এছাড়া শ্যামনগরে উপজেলায় আটটি স্থানে চড়ক মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২০২৫ সালে অর্থাৎ ১৪৩২ বঙ্গাব্দে চৈত্রমাসে চড়কপূজার শতবর্ষ পূর্ণ হলো। সেই উপলক্ষ্যে অতীতের সোনালি দিনগুলোকে তুলে ধরার জন্য চেষ্টা করা হয়েছে। সাথে গিরিধারে চড়ক মেলা পূজা উদযাপন কমিটির জন্মের লেখক শিক্ষক দেবপ্রসাদ মন্ডল ও নব কুমার মন্ডল তাদের তথ্য অনুসন্ধানে কাজটি আরও বেশি প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে ।
বাংলাদেশের বাঙালিদের অতি প্রাচীনতম লোক উৎসব চড়ক পূজা শিবের গাজন। ক্রমে ক্রমে ব্রাহ্মণ পুরোহিতরা এই গাজনকে শিব উৎসবে পরিণত করেছেন। শিবক্রমে প্রধান গ্রাম দেবতা গাজন সহজে শিবের গাজন নামে পরিণত লাভ করে। পন্ডিতেরা মনে করেন যে গাজন ও গাজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চড়ক উৎসব আদিম সমাজ থেকে এসেছে।
