
MD Ariful Islam
|Subscribers
Breaking news
রাঙ্গামাটি বাঘাইছড়িতে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জমকালো আয়োজনের মধ্যদিয়ে ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪ এর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩ ঘটিকায় মুসলিম ব্লক সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠে মুসলিম ব্লক ফুটবল একাদশ এর আয়োজনে চুড়ান্ত পর্বের ফাইনাল খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়।
খেলার পূর্বে ফিলিস্তিনীদের সমর্থনে ফিলিস্তিনী জাতীয় পতাকা হাতে খেলোয়াড়রা মাঠে নামে।
উক্ত অনুষ্ঠানে খেলা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো: সেলিম জাবেদ মুসা এর সভাপতিত্বে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাঘাইছড়ি পৌর বিএনপির সভাপতি মোঃ নিজাম উদ্দিন বাবু।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,বাঘাইছড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ ওমর আলী, বাঘাইছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রহমত উল্লাহ খাজা,উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি আবুল কালাম, খেলা পরিচালনা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ও বাঘাইছড়ি উপজেলা বিএনপি'র সহ-সভাপতি নূর মোহাম্মদ, সহ উপজেলা ও পৌর বিএনপি'র নেতাকর্মী ও বৃহত্তর মুসলিম ব্লক এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উক্ত খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন "মুসলিম ব্লক ফ্রেন্ডশিপ একাদশ বনাম পশ্চিম মুসলিম ব্লক যুব উন্নয়ন ক্লাব।
নির্ধারিত সময়ে শেষে "মুসলিম ব্লক ফেন্ডশিপ ফুটবল একাদশকে ২-১ গোলে পরাজিত করেন পশ্চিম মুসলিম ব্লক যুব উন্নয়ন ক্লাব বিজয়ী লাভ করে।
উক্ত খেলায় আমন্ত্রিত অতিথিরা বলেন, এই খেলাটি হওয়ার কথা ছিলো গত বছরে। একটু সমস্যা হওয়ার কারণে খেলাটি স্থগিত করা হয়েছিলো। তারা আরো বলেন খেলাধুলায় মানুষের মন ভালো রাখে,খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে এবং যুবসমাজকে মাদক সন্ত্রাসমুক্ত করতে খেলাধুলায় আসতে সকল যুবকদের আহ্বান জানান।
পরে চ্যাম্পিয়ন দলকে বিশ হাজার টাকা ও রানার্স আপ দলকে দশ হাজার টাকা প্রাইজমানি ও উভয় দলের খেলোয়াড়দের মাঝে দলীয় ট্রফি ও ব্যাক্তিগত এবং অতিথিদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
বসবাসের অনুপযোগী ঘর, তিন মেয়েকে নিয়ে মানবেতর জীবন, সাহায্যের আশায় চেয়ে আছেন এক মা।
মো: আরিফুল ইসলাম
বাঘাইছড়ি, রাঙামাটি
বাঘাইছড়ি উপজেলার পূর্ব লাইল্লাঘোনা এলাকায় বসবাস করেন শাহনাজ বেগম। তাঁর স্বামীর নাম আব্দুল সালাম, পেশায় দিন মজুর। এই পরিবারটি বর্তমানে এমন একটি ঘরে বসবাস করছে, যেটি এক কথায় মানুষের থাকার উপযোগী নয়। চারদিকে ভাঙাচোরা ঘরের ভেড়া, ছাউনি জরজীর্ণ, বর্ষার সময় ঘরের ভেতরে পানি ঢোকে, শীত-গরমে ছাদ যেন কোনো কাজেই আসে না।
শাহনাজ বেগমের তিনটি মেয়ে রয়েছে। শিশু সন্তানদের নিয়ে প্রতিদিন এক নতুন যুদ্ধ করতে হয় তাকে। এই অসহায় অবস্থার কথা জানিয়ে তিনি বহুবার স্থানীয় ইউপি মেম্বার এর কাছে সরকারি ঘরের জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু একাধিকবার ঘুরেও তিনি কোনো সাহায্য পাননি, শুধু আশ্বাস আর প্রতিশ্রুতি।
স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তিও তাকে ঘর তৈরি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বাঁশ কিনতে বলেছিলেন। নিজের কষ্টের টাকা দিয়ে বাঁশ কেনার পরও তারা আর খোঁজ রাখেনি।
এই কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়িয়েছে একটি মানবিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “মানবতার তারুণ্য”। এর আগেও গত ঈদে তারা রোকেয়া বেগম ও তার পরিবারকে ঈদ সামগ্রী দিয়েছিল। এবার তারা ঘোষণা দিয়েছে যেভাবেই হোক, তারা টাকা সংগ্রহ করে এই পরিবারটির জন্য একটি থাকার মতো ঘর নির্মাণ করবে।
অসহায় রোকেয়া বেগম বলেন: আমি তিনটা মেয়ে নিয়ে অনেক কষ্টে আছি। অনেকের কাছে গেছি, কেউ কথা রাখে নাই। কিন্তু মানবতার তারুণ্য আমাকে আগেও সহায়তা করছে, এখন আবার ঘর বানিয়ে দিবার কথা বলছে। আল্লাহ যেন ওদের ভালো রাখে। সেই সাথে আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো যাতে আমাদের দিকে সু-দৃষ্টি দেন। আমাকে যেন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নুরুন্নাহার সাথী বলেন: এই পরিবারটারে আমরা সবাই চিনি। ওরা খুব কষ্টে থাকে। আমি নিজেও মানবতার তারুণ্য সংগঠনের সাথে জড়িত, আমি একটা মিটিংয়ে এই বিষয়টি তুলে ধরি, এবং তারাও এই বিষয় নিয়ে এগিয়ে আসছে। আমরা চাই, সবাই মিলে যেন এই কাজে সহযোগিতা করে।
এই বিষয়ে মানবতার তারুণ্য সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ আল মারুফ বলেন, আমরা বিষয়টি জানার পর সরেজমিনে পরিদর্শন করতে আসি, এসে যা দেখলাম তাতে খুব খারাপ লাগলো। এমন ঘরে তারা কিভাবে বসবাস করছে? যেহেতু আমাদের সংগঠনটি নতুন এবং নিজস্ব ফান্ড নাই, তাই আমরা বিভিন্ন স্বাবলম্বী/প্রভাবশালীদের থেকে সহযোগিতা নিবো। এবং সেই সাথে আমি উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করি।
তিনি আরো বলেন, এখন শুধু প্রয়োজন আমাদের সকলের একটুখানি সহানুভূতি আর সাহায্য। একটি ঘর—যা কারো কাছে খুব সাধারণ, আবার কারো কাছে স্বপ্ন। প্রয়োজনে কেউ যদি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে চাই তাহলে 01619539684 এই নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করছি।