close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

উত্তেজনার মধ্যেই বেন গু রি য় ন বিমানবন্দর চালু করলো ই স রা য়ে ল!....

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইরানের সঙ্গে সংঘাতের জেরে বন্ধ ছিল ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দর। হামলার ঝুঁকি নিয়েই সীমিত ফ্লাইটে আবার চালু হলো বেন গুরিয়ন — সর্বোচ্চ ৫০ যাত্রী নিয়েই আকাশে উড়ছে প্লেন!....

ইরানের সঙ্গে চলমান সংঘাতের জেরে প্রায় ১০ দিন বন্ধ থাকার পর আবার চালু হলো ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দর বেন গুরিয়ন। সোমবার (২৩ জুন) থেকে সীমিত পরিসরে এই বিমানবন্দরটি আংশিক চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল

গত ১৩ জুন ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েল হামলা চালানোর পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মধ্যপ্রাচ্য। এর জের ধরে নিরাপত্তা সংকটের মুখে ইসরায়েল তাদের আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করে এবং বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরও বন্ধ করে দেওয়া হয়।

তেল আবিবে অবস্থিত বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর থেকে সোমবার ১ হাজার যাত্রী দেশ ছাড়বে বলে অনুমান করছে কর্তৃপক্ষ। তবে প্রতিটি ফ্লাইটেই যাত্রী সংখ্যা সীমিত করা হয়েছে — সর্বোচ্চ ৫০ জন করে।

ইসরায়েলের পরিবহনমন্ত্রী মিরি রেগেভ বলেন,আমরা আশা করছি, স্থানীয় বিমানগুলো আজ আন্তর্জাতিক রুটে মোট ২৪টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে। তবে নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি ফ্লাইটে মাত্র ৫০ জন করে যাত্রী বহন করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও যোগ করেন,“আমাদের বিমানবন্দর এখনো হামলার হুমকির মুখে রয়েছে। তবে আমরা সতর্কতা ও কৌশল রক্ষা করেই ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে চাই। আশা করছি আগামী সপ্তাহে হোম ফ্রন্ট কমান্ডের নির্দেশনা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি অনুযায়ী ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব হবে।

ইসরায়েলি বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশটিতে আটকা পড়ে প্রায় ৩০ হাজার পর্যটক। তাদের অনেকেই বাধ্য হয়ে বিকল্প পথে — যেমন মিশর ও জর্ডান সীমান্ত ব্যবহার করে অথবা সমুদ্রপথে — দেশ ছাড়তে শুরু করেন।

এই পরিস্থিতিতে বিমান চলাচল আংশিক শুরু হওয়াকে পর্যটক এবং নাগরিকদের জন্য অনেকটাই স্বস্তির বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে ফ্লাইট সংখ্যা কম এবং যাত্রীর সংখ্যায় কঠোর নিয়ন্ত্রণের কারণে অনিশ্চয়তা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।

ইসরায়েলি প্রশাসনের দাবি, যেহেতু নিরাপত্তা এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত নয়, তাই বিমানবন্দরে প্রতিটি কার্যক্রম চলছে সতর্কতার সঙ্গে। বিমানবন্দরে টার্মিনাল, ব্যাগেজ চেকিং, বোর্ডিং পয়েন্ট — সবখানে নিরাপত্তা বাহিনীর বাড়তি নজরদারি রাখা হয়েছে।

আকাশে আবারও প্লেন দেখা গেলেও, যুদ্ধের শঙ্কা এখনও ঘন। তবুও আংশিকভাবে বিমান চলাচল চালু হওয়াকে সরকার একটি “সাহসী পদক্ষেপ” হিসেবে দেখছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, তারা প্রতিটি উড্ডয়ন এবং অবতরণের সময় রাডারে নজর রাখছে এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে।

বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর চালু হলেও যুদ্ধ পরিস্থিতি এখনো ঠান্ডা হয়নি। ইরান-ইসরায়েল টানাপোড়েনের মধ্যে এমন পদক্ষেপ ইসরায়েলি জনমনে আশার আলো জাগালেও শঙ্কা থেকে যাচ্ছে—এই শিথিলতার সুযোগে বড় ধরনের হামলার আশঙ্কা অস্বীকার করা যাচ্ছে না।

Ingen kommentarer fundet