close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

উত্তাল উত্তর কোরিয়া, সরাসরি হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রকেও!

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
উত্তর কোরিয়া এবার সরাসরি আক্রমণ করল ইসরায়েলকে— শান্তির বিরুদ্ধে ‘ক্যান্সারের মতো এক ভয়ানক অস্তিত্ব’ বলে উল্লেখ করে। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদেরও দেওয়া হলো কড়া বার্তা। তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ব..

বিশ্বজুড়ে যখন উত্তেজনার আগুন ছড়িয়ে পড়ছে, তখন উত্তরের শক্তিধর রাষ্ট্র উত্তর কোরিয়া মুখ খুললো মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংকট নিয়ে। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিসিএনএ (KCNA)-তে প্রকাশিত এক বিস্ফোরক বিবৃতিতে, দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে— ইসরায়েল এখন শুধু একটি রাষ্ট্র নয়, বরং শান্তির শত্রু, এক ‘ক্যান্সারের মতো সত্তা’।

ইরানে ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে ক্ষোভের বিস্ফোরণ

বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানের বেসামরিক, পারমাণবিক ও জ্বালানি স্থাপনাগুলোতে ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসন গভীর উদ্বেগজনক। এতে শুধু ক্ষয়ক্ষতিই নয়, বরং আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবাধিকারের সরাসরি লঙ্ঘন ঘটেছে। উত্তর কোরিয়ার মতে, ইসরায়েলের এই ধরনের আক্রমণ একটি পরিকল্পিত ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ’, যার লক্ষ্য পুরো অঞ্চলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, "বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্য করে ইসরায়েল যেভাবে হামলা চালাচ্ছে, তা মানবতার বিরুদ্ধে ক্ষমাহীন অপরাধ। এটি নৃশংসতা, যা জাতিসংঘের নীতিমালাও লঙ্ঘন করছে।" পিয়ংইয়ং মনে করে, এ ধরনের হামলা সরাসরি যুদ্ধ উস্কে দিচ্ছে এবং মধ্যপ্রাচ্যে নতুন এক সর্বাত্মক সংঘর্ষের ঝুঁকি তৈরি করছে।

উত্তর কোরিয়া শুধুমাত্র ইসরায়েলকেই নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় দেশগুলোকেও সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, “বর্তমান ভয়াবহ পরিস্থিতি পরিষ্কার করে দেয়— যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, পুরো বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।”

তাদের ভাষায়, "ইসরায়েল একটি বিষাক্ত ক্যান্সারের মতো, যা কেবল সংক্রমণ ছড়ায়। এই রাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে সংঘাত ও অস্থিরতার মূল হোতা।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গভীর পর্যবেক্ষণে আছে— যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমারা কিভাবে যুদ্ধের আগুনে ঘি ঢালছে। তারা ইরানের বৈধ আত্মরক্ষার অধিকার পর্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ করছে, যা আন্তর্জাতিক আইন ও সার্বভৌম অধিকারের পরিপন্থী। পিয়ংইয়ং বলছে, “এটি শুধু রাজনৈতিক স্বার্থ নয়, মানবিক বিবেকের চরম অপমান।

এই বিবৃতি এমন এক সময়ে এসেছে যখন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘ইরানের প্রতি আমার ধৈর্য ফুরিয়ে গেছে।’ উত্তর কোরিয়া এই বক্তব্যকে আন্তর্জাতিক উত্তেজনা বাড়ানোর ইন্ধন হিসেবেই দেখছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, উত্তর কোরিয়ার এ ধরনের স্পষ্ট অবস্থান মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এটি চীন, রাশিয়া এবং অন্যান্য পশ্চিমবিরোধী শক্তির সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

উত্তর কোরিয়ার এই কড়া বার্তা শুধু কূটনৈতিক উত্তেজনা নয়, বরং বিশ্ব রাজনীতিতে এক নতুন চাপের সূচনা করল। ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা শক্তির বিরুদ্ধে এমন স্পষ্ট ও চাঞ্চল্যকর হুঁশিয়ারি আগামীদিনে কেমন প্রভাব ফেলবে—তা এখন শুধু সময়ই বলে দেবে। তবে এটা নিশ্চিত, শান্তির নামে যুদ্ধের ছায়া আরও ঘন হচ্ছে!

Không có bình luận nào được tìm thấy