বাংলাদেশ ক্রিকেটের অগ্রযাত্রায় এবার যোগ হতে যাচ্ছে নতুন মাত্রা। বরিশালের জীবনানন্দ দাশ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটের রজতজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম দিয়েছেন এক ঐতিহাসিক ঘোষণা— দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ের ক্রিকেটারদের জন্য ডাটাবেজ তৈরি হবে, যা ক্রিকেটারদের উঠে আসার পথকে আরো সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করবে।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে জেলা কোচরা উপজেলা পর্যায়ের প্রতিটি ক্রিকেটারের সম্পর্কে বিস্তারিত জানবেন— কে ব্যাটসম্যান, কে পেসার, কে লেগ স্পিনার, কী পারফরম্যান্স করেছে ইত্যাদি। এসব তথ্য পরবর্তীতে বিভাগীয় পর্যায়ে পাঠানো হবে, এবং তিন স্তর বিশিষ্ট এই কাঠামোর মধ্য দিয়ে গড়ে উঠবে বিভাগীয় পর্যায়ের শক্তিশালী ক্রিকেট দল, যারা আর ঢাকার দিকে তাকিয়ে থাকবে না।
বিসিবি সভাপতি বলেন ,আমরা চাই বরিশালের খেলোয়াড়রা বরিশালের নিজস্ব কাঠামোর মধ্যেই বরিশালকে প্রতিনিধিত্ব করুক।
বিভাগীয় পর্যায়ে থাকবে বিসিবির ছোট অফিস। থাকবে একজন প্রধান, যার অধীনে নিয়োগ পাবেন একজন হাই পারফরম্যান্স কোচ। এখান থেকেই সমস্ত স্থানীয় টুর্নামেন্ট, অনুশীলন, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। তবে সভাপতি আশ্বস্ত করেন,আমরা নরমাল ক্রিকেট গ্রোথকে ডিস্টার্ব করবো না।
তিনি জানান, তিনি মাত্র ২৯ দিন হলো বিসিবিতে দায়িত্ব নিয়েছেন, তাই এখনই বড় প্রতিশ্রুতি না দিলেও তিনি বরিশালের স্টেডিয়ামে বিপিএল আয়োজনের সম্ভাবনার কথা জোরালোভাবে বলার সাহস রাখেন।
তিনি বলেন,এই স্টেডিয়ামে যদি বিপিএল হয়, যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে গ্যালারি ভরে যাবে।
বিসিবি সভাপতির কণ্ঠে ছিল ক্ষোভ ও দুঃখও। তিনি বলেন,১০-১৫ বছর বরিশালে লীগ হচ্ছে না—এটি একটি বড় অবিচার। সোহাগ গাজী, কামরুল ইসলাম রাব্বি—এমন অসংখ্য প্রতিভা নষ্ট হয়ে গেছে শুধু খেলা না থাকার কারণে।
তিনি জানান, বরিশালে ক্রিকেট কোচিং, আম্পায়ারিং, কিউরেটর কোর্সও হয় না। এই ঘাটতি পূরণে বরিশালে বিসিবির একটি অফিসের মাধ্যমেই প্রশিক্ষণ চালু করা হবে।
অনুষ্ঠানে ছিলেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. রায়হান কাওছার, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. সোহরাব হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লুসিকান্ত হাজং এবং জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মেহেরাব হোসেন অপি, শাহরিয়ার নাফিস, সোহাগ গাজীসহ জেলা ও মহানগরের ক্রীড়া সংস্থার নেতৃবৃন্দ।
রজতজয়ন্তী উপলক্ষ্যে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে ছিল নানা প্রতিযোগিতা—
সিক্স এ সাইড ক্রিকেট, পেস হান্টার, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, যেখানে স্কুলের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
বিকেলে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এবারের বার্তাটি পরিষ্কার—বরিশাল আর পেছনে থাকবে না। উপজেলা থেকে বিভাগীয় স্তর পর্যন্ত ক্রিকেটের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ ক্রিকেটে এক নতুন যুগের সূচনা হতে পারে বরিশাল থেকেই।
 'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
  'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
  
  
 
		 
				 
			



















 
					     
			 
						 
			 
			 
			 
			 
			 
			