close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

উপদেষ্টাদের রাজনীতিতে সংশ্লিষ্টতা নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা: আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ঢাকা, বৃহস্পতিবার: উপদেষ্টাদের কেউ যদি রাজনীতির সঙ্গে জড়াতে চান, তাহলে তাকে অন্তর্বর্তী সরকার থেকে বের হয়েই তা করতে হবে বলে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সর
ঢাকা, বৃহস্পতিবার: উপদেষ্টাদের কেউ যদি রাজনীতির সঙ্গে জড়াতে চান, তাহলে তাকে অন্তর্বর্তী সরকার থেকে বের হয়েই তা করতে হবে বলে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি স্ট্যাটাসে এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানের কথা জানান তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, "সরকারি কাজ এবং রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম একসঙ্গে চলতে পারে না। বিভিন্ন সরকারি ও সাংবিধানিক গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগে তদবির বা চাপ প্রয়োগ করাও সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।" উল্লেখযোগ্যভাবে, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তাঁর স্ট্যাটাসে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গেও ইঙ্গিত করেছেন। এর আগে আরেক উপদেষ্টা নাহিদ একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে একই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানালে, আসিফের এই স্ট্যাটাস রাজনৈতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কঠোর বার্তা উপদেষ্টাদের জন্য আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া স্পষ্ট করে বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের দায়িত্ব হলো নিরপেক্ষ থেকে দেশের সেবা করা। তিনি বলেন, "সরকারের কাজ রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থাকা জরুরি। যদি কোনো উপদেষ্টা রাজনৈতিক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হতে চান, তাহলে তাদের জন্য একমাত্র পথ হলো সরকার থেকে বের হয়ে যাওয়া।" সরকারি কাজে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ নিষিদ্ধ সরকারি ও সাংবিধানিক গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগে কোনো প্রকার তদবির বা চাপ প্রয়োগ করার বিরোধিতা করে তিনি বলেন, "এ ধরনের কার্যক্রম সরকারি নীতির বিরুদ্ধে।" রাজনৈতিক মহলে প্রতিক্রিয়া আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার এই স্ট্যাটাস সামাজিক মাধ্যমে ইতিমধ্যেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষস্থানীয়দের এমন বক্তব্য থেকে বোঝা যাচ্ছে যে তারা নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। পরিবর্তনের ইঙ্গিত? আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার এই বার্তা শুধু উপদেষ্টাদের জন্যই নয়, বরং রাজনৈতিক দলগুলোকে সতর্ক করার বার্তাও বহন করছে। এতে সরকারের নিরপেক্ষতা এবং পেশাদারিত্ব রক্ষার একটি দৃঢ় মনোভাব স্পষ্ট হয়েছে। এই ধরনের মন্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে কী প্রভাব ফেলবে এবং সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সম্পর্ক কীভাবে পরিচালিত হবে, তা সময়ই বলে দেবে।
לא נמצאו הערות