close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

ট্রাম্পের রেফারি ভূমিকার অপেক্ষায় যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন: কী হবে ভবিষ্যৎ?

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
নতুন বছরের প্রথম প্রহরে কিয়েভে রুশ হামলা, নিহত ১, আহত ৬ ইউক্রেন যুদ্ধ আরেকটি বছর পেরিয়ে ২০২৫ সালে পা রাখল। তবে পরিস্থিতি আগের মতোই রক্তাক্ত। নতুন বছরের শুরুতেই
নতুন বছরের প্রথম প্রহরে কিয়েভে রুশ হামলা, নিহত ১, আহত ৬ ইউক্রেন যুদ্ধ আরেকটি বছর পেরিয়ে ২০২৫ সালে পা রাখল। তবে পরিস্থিতি আগের মতোই রক্তাক্ত। নতুন বছরের শুরুতেই রাশিয়া প্রাণঘাতী ড্রোন হামলা চালিয়ে কিয়েভে এক ব্যক্তিকে হত্যা করে এবং আহত করে অন্তত ছয়জনকে। এটি ইউক্রেনের জন্য তৃতীয় বছর, যা তারা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে শুরু করল। ২০২৩ সাল তারা আশাবাদী মনোভাবে শুরু করেছিল। তাদের আশা ছিল রাশিয়াকে পিছু হটিয়ে পূর্ণ বিজয়ের দিকে এগিয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবতা ছিল ভিন্ন। ২০২৪ সালের শুরুতেই স্পষ্ট হয়ে যায়, দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের বাস্তবতাকে মেনে নিয়েছে ইউক্রেন। দ্রুত বিজয়ের স্বপ্ন কেবল বিভ্রমে পরিণত হয়। মনোবল হারানোর সময়েও নতুন আশার আলো: ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন ২০২৫ সাল এমন এক পরিস্থিতিতে শুরু হয়েছে, যেখানে ইউক্রেনের মনোবল তলানিতে। এই প্রেক্ষাপটে ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় বসতে চলেছেন। ট্রাম্প ইতিমধ্যেই যুদ্ধ থামানোকে তার প্রশাসনের প্রধান অগ্রাধিকারগুলোর একটি হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এর জন্য তিনি মার্কিন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল কেইথ কেলগকে বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই কেলগ কিয়েভ সফর করবেন। ইউক্রেন সরকার মনে করছে, কেলগের অভিজ্ঞতা ও ট্রাম্পের নেতৃত্ব যুদ্ধক্ষেত্রের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে দিতে পারে। সমঝোতা না হলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের হুমকি কেলগ আগেও কিয়েভ সফর করেছেন এবং রাশিয়ার হামলার তীব্র সমালোচনা করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা করতে রাজি না হলে ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। আবার রাশিয়া সহযোগিতা না করলে ইউক্রেনের অস্ত্র সরবরাহ বাড়ানোরও পক্ষে তিনি। যুদ্ধের মধ্যস্থতায় ট্রাম্পের ভূমিকা কী হবে? সম্প্রতি এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে কেলগ বলেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন একজন ব্যক্তি, যিনি দুই পক্ষকে আলাদা করার জন্য রেফারির ভূমিকা পালন করতে পারেন।” এই মন্তব্যে কিয়েভের নেতারা ট্রাম্পের নেতৃত্বের প্রতি নতুন আশার আলো দেখছেন। শান্তি আলোচনার ভবিষ্যৎ কিয়েভ ও মস্কোর কেউই আপাতত শান্তিচুক্তিতে ছাড় দেওয়ার পক্ষে ইঙ্গিত দিচ্ছে না। পুতিন দাবি করছেন, রুশ বাহিনীর দখলে থাকা অঞ্চলগুলো রাশিয়ার অধীনেই থাকবে। অন্যদিকে, জেলেনস্কি বলেছেন, এ ধরনের দাবি মেনে নেওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়। তবে তিনি স্বীকার করেছেন, কিছু ছাড় দেওয়া হতে পারে, যা ইউক্রেনের জন্য পীড়াদায়ক হবে। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের নেতৃত্ব কেমন হবে এবং ইউক্রেনের ভাগ্যে কী অপেক্ষা করছে, তা দেখার বিষয়। তবে ইউক্রেনের অনেকেই মনে করছেন, ওয়াশিংটনের নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতা হয়তো তাদের জন্য একটি মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।
Nema komentara