close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

টিকটক ভিডিওর জেরে ভয়াবহ পরিণতি: প্রতিবেশীর আপত্তিতে ভাইয়ের হাতে প্রাণ গেল বোনের

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
পাকিস্তানের ঝিলামে টিকটক ভিডিও বানানোর কারণে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মাত্র ২০ বছর বয়সি এক নারীকে গুলি করে হত্যা করেছে তারই ভাইয়েরা। প্রতিবেশীদের আপত্তির
পাকিস্তানের ঝিলামে টিকটক ভিডিও বানানোর কারণে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মাত্র ২০ বছর বয়সি এক নারীকে গুলি করে হত্যা করেছে তারই ভাইয়েরা। প্রতিবেশীদের আপত্তির জেরে এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে জানা গেছে। প্রতিবেশীদের আপত্তি থেকে হত্যাকাণ্ড স্থানীয় গণমাধ্যম এআরওয়াই নিউজ জানিয়েছে, নিহত ওই নারীর টিকটক ভিডিও বানানো নিয়ে তার প্রতিবেশীরা তীব্র আপত্তি জানায়। বিষয়টি নিয়ে পরিবারে তীব্র মতবিরোধ সৃষ্টি হয়। ক্রমেই তা সংঘর্ষে রূপ নেয় এবং শেষ পর্যন্ত ভাইয়েরা ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের বোনকে গুলি করে হত্যা করে। হত্যাকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা হত্যাকাণ্ডের পর অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত প্রমাণ মুছে ফেলার চেষ্টা করে। তারা এটিকে আত্মহত্যা বলে চালানোরও চেষ্টা করেছিল। তবে তদন্তে উঠে আসে যে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ছিল। টিকটকের জেরে আরও হত্যাকাণ্ড এর আগে, পাকিস্তানের কোয়েটায় এমনই এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। গত ২৮ জানুয়ারি, টিকটক ভিডিও করার কারণে এক বাবা নিজের মেয়েকে গুলি করে হত্যা করে। নিহত কিশোরী যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেছিল এবং সম্প্রতি পরিবারের সঙ্গে পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে ফিরে এসেছিল। পুলিশ কর্মকর্তা বাবর বালোচ জানান, হত্যার পর সন্দেহভাজন বাবা আনোয়ার উল-হক দাবি করেছিলেন যে, ‘অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা’ তার ১৫ বছর বয়সি মেয়েকে হত্যা করেছে। তবে পরবর্তীতে তিনি নিজেই হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন। সম্মান রক্ষার্থে হত্যার ভয়াবহতা পাকিস্তানে প্রতি বছর শত শত নারী এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হত্যাকারীরা ভুক্তভোগীর নিকটাত্মীয় হয়ে থাকে। তারা দাবি করে, পরিবারের ‘সম্মান রক্ষার্থে’ তারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন (এইচআরসিপি)-এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৪ সালে ‘সম্মান রক্ষার্থে হত্যা’ ব্যাপকভাবে উদ্বেগজনক মাত্রায় পৌঁছেছে। জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে ৩৪৬ জন নারী এই ধরণের নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। সমাজে সচেতনতার প্রয়োজন এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি। নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং এমন অনাকাঙ্ক্ষিত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে কঠোর আইন প্রয়োগ করা জরুরি।
No comments found