close
লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ফোটালে কঠোর শাস্তি, জানুন জরিমানা ও কারাদণ্ডের বিধান


ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনে থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি বা পটকা ফোটানো নিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে সতর্কবার্তা প্রকাশ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, এই ধরনের কর্মকাণ্ড পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এবং এটি শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা লঙ্ঘনের অন্তর্ভুক্ত। ফলে, আতশবাজি ও পটকা ফোটালে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য অফিসার দীপংকর বর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ও পটকা ফোটানোর ফলে শব্দদূষণ এবং বায়ুদূষণের মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। এর ফলে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে, এমনকি অতিরিক্ত শব্দের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে।” উল্লেখযোগ্যভাবে, একাধিকবার আতশবাজির শব্দের কারণে বিশেষ করে শিশুদের মাঝে ভয় ও মানসিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, এমনকি একবার এক শিশুর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুও ঘটে।
এছাড়া, শব্দদূষণের কারণে শ্রবণশক্তি, স্মরণশক্তি, ঘুমের ব্যাঘাত, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি, এবং মানসিক অস্থিরতার মতো শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি হতে পারে। তাই, মন্ত্রণালয় সকল নাগরিককে অনুরোধ করেছে, ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের সময় আতশবাজি ও পটকা ফোটানোর মতো বিধিবহির্ভূত কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, “শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬-এর ৭ বিধি লঙ্ঘন করলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। প্রথম অপরাধে ১ মাস কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা, কিংবা উভয়ই হতে পারে। পরবর্তী অপরাধে ৬ মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।”
অতএব, থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ও পটকা ফোটানোর ঘটনা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয় নাগরিকদের সচেতনতা ও সহযোগিতা কামনা করেছে।
Ingen kommentarer fundet