close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

ঠাকুরগাঁওয়ে মরিচের ভাইরাস জনিত কারনে মরিচ চাষিদের মাথায় হাত।..

শাহাজাদ ইসলাম avatar   
শাহাজাদ ইসলাম
ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়ায় মরিচের ভাইরাস জনিত কারণে এবং দাম কম পাওয়ায় মরিচ চাষিদের মাথায় হাত পরেছে। বর্তমানে মরিচ চাষিরা দুশ্চিন্তায় দিনাতিপাত করছে। তাদের অভিযোগ একদিকে মরিচ গাছে ভাইরাস অন্যদিকে মরিচের দামও..

 

মরিচের ভাইরাস জনিত কারনে ফলন কম হওয়ার ব্যপারে কৃষি অধিদপ্তর থেকে তারা কোন রকম সেবা মুলক পরামর্শ পান নি। রুহিয়া থানার অন্তর্গত ১নং রুহিয়া, ২নং আখানগর, ১৪নং রাজাগাঁও, ২০নং রুহিয়া পশ্চিম, ২১নং ঢোলার হাট ও ২২নং সেনুয়া ইউনিয়নের যথাক্রমে, মধুপুর, কশালগাঁও, উত্তরা, পাটিয়াডাঙ্গী বাজার, মাধবপুর, বাবুয়ার খাল, পলাশ বাংলা, ঘুরনগাছ, ভেলার হাট, সেনিহাড়ী গ্রামে সরজমিনে পরিদর্শন পূর্বক কৃষক-কৃষানিদের দেওয়া তথ্যমতে এবারে মরিচের গাছে এক প্রকার ভাইরাস আক্রমন করায় মরিচ গাছ পাতা কোকরানোর কারণে একবারের বেশি ফলন হয়নি।

 

বিধায় গতবছর যেখানে ১ বিঘা মাটিতে মরিচ পাওয়া যেতো ১৫/১৬ মণ এবার সেখানে পাওয়া যাচ্ছে ৪/৫ মণ। আবার গতবছর ১মণ মরিচের দাম ছিল ১৩/১৪ হাজার টাকা। এবারে ১মণ মরিচের দাম গড়ে মরিচ ভেদে ৪৩/৪৪ শত টাকা। মধুপুরের মরিচ চাষি সাহিরুল ইসলাম বলেন, এ বছর আমি ৬ বিঘা মাটি মরিচ লাগিয়েছিলাম। সর্বসাকূল্যে আমার ৩ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে।

কিন্তু মরিচ বিক্রি করে আমি মোটের উপর ১ লক্ষ টাকা পেয়েছি বাকি ২ লক্ষ টাকাই আমার লোকসান হয়েছে। কশালগাঁওয়ের নাছিমা আক্তার বলেন, আমি ২ বিঘা মাটি বর্গা নিয়ে মরিচ চাষ করেছিলাম।

আমার খরচ ১ লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা। কিন্তু মরিচের গাছে ভাইরাস হওয়ায় মাত্র ২০ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি করেছি। আর কোন ফলন হওয়ার লক্ষন দেখছি না। রুহিয়া বন্দর পাড়া এলাকার মরিচ চাষি ফজলুর রহমান বলেন, আমি ২ বিঘা মাটি মরিচ চাষের জন্য বর্গা নিয়েছি ৬০০০০/- (ষাট হাজার) টাকায় এছাড়া আরও খরচ হয়েছে ৬০০০০/- (ষাট হাজার) মোট ১ লাক্ষ ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। মরিচ পেয়েছি মাত্র ৪ মণ।

 

এখনো লক্ষাধিক টাকা ঘটতি রয়েছে। ২০নং রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ-সহকারি কৃষি অফিসার সুভাস চন্দ্র রায়ের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, আবহাওয়া জনিত কারণে মরিচে এক প্রকার ভাইরাস আক্রমণ করায় ফলন কম হয়েছে। আমরা কৃষক কে প্রতিনিয়ত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। কিছুটা হলেও রিকভার হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা কৃষি অফিসার নাসিরুল আলম বলেন, এটি শুধু রুহিয়ার চিত্র নয় মোটামুটি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সব জায়গায় মরিচের উৎপাদন কম হয়েছে।

 

আবহাওয়া জনিত কারণে এমনটি হয়েছে। আমি সহ আমার সহ কর্মীরা মাঠে মরিচ চাষিদের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি তারপরেও যদি কোথায়ও কোনো ঘাটতি থাকে তাহলে আমাদেরকে অনুগ্রহ পূর্বক জানাবেন।

 

 

 

 

শাহাজাদ ইসলাম আই নিউজ বিডি 
نظری یافت نشد