close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

তেলের বাজারে আ গু ন , যু ক্ত রা ষ্ট্রে র শেয়ারবাজারে ধসের আ শ ঙ্কা..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনায় বিশ্ববাজারে তেলের দাম হু হু করে বাড়ছে। হরমুজ প্রণালী বন্ধের হুমকিতে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে ধস নামার শঙ্কা তীব্র হচ্ছে।..

বিশ্ববাজার আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে। ইরান-ইসরায়েল চলমান উত্তেজনার জেরে জ্বালানি তেলের বাজারে দেখা দিয়েছে আগুনঝরা দাম। এই সংকটের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারেও।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ব্যারেলপ্রতি ৮০ ডলার, যা একলাফে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে। পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব ডব্লিউটিআই (WTI) ক্রুড তেলের দামও বেড়ে ৭৭ ডলারে পৌঁছেছে, যা ৪ দশমিক ৩ শতাংশের উর্ধ্বগতি।

বিশ্ব অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে অন্যতম প্রধান জ্বালানি উৎস হলো এই তেল। অথচ হঠাৎ করে এমন বাড়তি দামের ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

বিশ্বের অন্যতম বড় তেল উৎপাদক দেশ ইরান—যার অবস্থান মধ্যপ্রাচ্যের কৌশলগত দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালী সংলগ্ন। এই প্রণালী দিয়েই বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেল রপ্তানির বড় একটি অংশ সম্পন্ন হয়। আর এ পথ নিয়েই সৃষ্টি হয়েছে নতুন সংকট।

ইরানের পক্ষ থেকে হুমকি এসেছে—হরমুজ প্রণালী সাময়িকভাবে বন্ধের। এই সিদ্ধান্ত যদি কার্যকর হয়, তবে তা বিশ্ব জ্বালানি সরবরাহকে চরমভাবে ব্যাহত করবে। ফলে চাহিদা ও সরবরাহে বিশাল ব্যবধান তৈরি হয়ে যাবে, যা জ্বালানি মূল্য আরও বাড়িয়ে দেবে।

এই সংকটের ছায়া পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতেও। ইতিমধ্যেই সেখানে এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ফিউচারসের মূল্য কমেছে ০ দশমিক ৬ শতাংশ। একসঙ্গে ট্রেজারি বন্ডের দামেরও পতন লক্ষ্য করা গেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব যদি আরও তীব্র হয় বা সরাসরি সংঘাতে রূপ নেয়, তাহলে বিশ্ববাজারে এক ভয়াবহ অর্থনৈতিক ধস দেখা দিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় অর্থনীতিগুলোও এর ধাক্কা এড়াতে পারবে না।

অর্থনৈতিক বিশ্লেষক জন ব্রুকস বলেন, এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক বাজার খুবই সেনসিটিভ। যুদ্ধের সম্ভাবনা যত বাড়বে, তেলের দাম ততই উর্ধ্বমুখী হবে এবং শেয়ারবাজারে ধস আরও বাড়বে।

গত এক সপ্তাহ ধরেই বিশ্ববাজারে তেলের দামে ব্যাপক ওঠানামা চলছে। কখনো যুদ্ধের গুঞ্জনে দাম বেড়ে যাচ্ছে, আবার কোনো শান্তিপূর্ণ বার্তা ছড়িয়ে পড়লে সাময়িকভাবে তা কিছুটা কমে আসছে।

বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, যদি হরমুজ প্রণালী বন্ধ করা হয় কিংবা যুদ্ধ শুরু হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক শেয়ারবাজারে এমন ধস নামবে যা ২০০৮ সালের বৈশ্বিক মন্দাকেও হার মানাতে পারে।

বিশ্ব নেতারা কূটনৈতিকভাবে এই উত্তেজনা কমানোর জন্য সচেষ্ট হলেও এখন পর্যন্ত কোনো স্থায়ী সমাধান দেখা যাচ্ছে না। ফলে বাজারে দোলাচলের এই ধারা অব্যাহত থাকতে পারে।

ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা বিশ্ব অর্থনীতিকে যেভাবে নড়বড়ে করে তুলেছে, তা নিঃসন্দেহে আগামী দিনের জন্য একটি ভয়ংকর সংকেত। আর এই সংকটে সবচেয়ে বেশি চাপে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজার।

Hiçbir yorum bulunamadı


News Card Generator