close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

তেল আবিবে আ গু ন-ধ্বং সে র রাত: ই রা নে র দেড় শতাধিক ক্ষে প ণা স্ত্রে কাঁ প ছে ই স রা য়ে ল!..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইরানের প্রতিশোধী অভিযানে রাজধানী তেলআবিবসহ ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিগুলোতে ছোড়া হয়েছে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র। নেভাতিম ও ওভদা বিমানঘাঁটি, সামরিক স্থাপনা ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে বিস্ফোরণ, অগ্নিকাণ্ড ও প..

ইরানের 'অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি': তেলআবিবে ভয়াল রাতের ধ্বংসযজ্ঞ

মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত ভূখণ্ড আবারও উত্তাল। শুক্রবার গভীর রাতে ইরান তার প্রতিশোধের ঘোষণা বাস্তবে রূপ দিল। 'অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি' নামে চালানো এই পাল্টা সামরিক অভিযানে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (IRGC) ইসরায়েলের রাজধানী তেলআবিব ও আশেপাশের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটিগুলোতে ছুড়েছে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র। এতে গোটা দেশজুড়ে আতঙ্ক, বিস্ফোরণ ও মৃত্যুর ছায়া নেমে এসেছে।

 

স্থানীয় সময় রাত ১টা নাগাদ, একযোগে শুরু হয় ক্ষেপণাস্ত্র বৃষ্টি। মূল টার্গেট ছিল নেভাতিম, ওভদা ও টেল নোফ—ইসরায়েলের তিনটি বৃহৎ বিমানঘাঁটি। পাশাপাশি হামলা হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা কেন্দ্র, পারমাণবিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান, ও উচ্চ প্রযুক্তি সামরিক স্থাপনাগুলোতে।

আলজাজিরা ও ইরানি সংবাদ সংস্থা তাসনিম জানায়, এ হামলায় এখন পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে ৩ জন নিহত এবং অন্তত ডজনখানেক আহত হয়েছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে হতাহতের সংখ্যা কমিয়ে দেখালেও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে আসছে ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া মানুষের ছবি ও ভিডিও।

 

একটা প্রচণ্ড শব্দে ঘুম ভেঙে গেল। সতর্ক সংকেত শোনার পরপরই আমরা বাচ্চাদের নিয়ে দৌড়ে নিচে আশ্রয়কেন্দ্রে যাই। কয়েক মিনিটের মধ্যেই চারদিক কেঁপে উঠলো বিস্ফোরণে। জানালার কাচ ভেঙে ধুলো আর ধোঁয়ায় ঢেকে যায় ঘর। এখনো আতঙ্ক কাটছে না।”

ইসরায়েলি দমকল বাহিনী ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করেছে একটি উঁচু আবাসিক ভবনের ধসে পড়া অংশে আটকে পড়া মানুষজন উদ্ধারে। ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, অন্তত ছয়টি স্থানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয়েছে, যেগুলোর নিয়ন্ত্রণে সময় লেগেছে ছয় ঘণ্টারও বেশি।

 

 

এই হামলায় আমাদের ১৫০টির বেশি লক্ষ্যবস্তু ছিল। আমরা দিক পরিবর্তন করে, বিভিন্ন গতির ক্ষেপণাস্ত্র একসঙ্গে ব্যবহার করেছি যাতে ইসরায়েলের ডোম সিস্টেম বিভ্রান্ত হয়। এটা ছিল কৌশলগত আক্রমণ, প্রতিশোধ নয়।”

এই অভিযানে ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছিল মধ্য ও দীর্ঘ পাল্লার। একাধিক দিক থেকে সমন্বিত হামলায় ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কার্যত অচল হয়ে পড়ে, যার সুযোগে মূল ঘাঁটিগুলোতে সরাসরি আঘাত হানে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো।

 

ইরানি প্রতিরক্ষা সূত্র বলছে, ইসরায়েলের আগের আক্রমণ নেভাতিম ঘাঁটি থেকেই পরিচালিত হয়েছিল। তাই প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হিসেবে এই ঘাঁটি ও তার আশপাশে হামলা করা হয়। এ ছাড়া ওভদা ও টেল নোফ ঘাঁটির রাডার ইউনিট, ফুয়েল ডিপো এবং কমিউনিকেশন হাবও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে তেহরান।

 

এই ঘটনাকে ঘিরে কেবল মধ্যপ্রাচ্য নয়, গোটা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে চরম উত্তেজনা। জাতিসংঘ মহাসচিব গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন,

 

এই ঘটনার তাৎক্ষণিক সমাধান দরকার, না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নেবে।"

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানালেও, বিশেষজ্ঞদের মতে, উভয় পক্ষ এখন এমন এক অবস্থানে পৌঁছে গেছে, যেখানে কূটনীতির চেয়ে শক্তির প্রদর্শনই বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।

 

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই আঘাত ছিল শুধু একটি বার্তা। ইরান দেখাতে চেয়েছে—তাদের বিজ্ঞানী হত্যা বা সামরিক স্থাপনায় হামলা হলে, তার পাল্টা জবাব ভয়াবহভাবে আসবে। এখন প্রশ্ন হলো, ইসরায়েল এর প্রতিক্রিয়ায় কী সিদ্ধান্ত নেয়?

Geen reacties gevonden


News Card Generator