তেল আবিব ও হাইফায় নতুন ধাপে ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু: ইরান..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইসরায়েলের তেল আবিব ও হাইফা শহরে ইরান নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা শুরু করেছে। মধ্যরাতে আকাশ কাঁপানো হামলার জেরে ইসরায়েলের বহু এলাকায় বেজে ওঠে সাইরেন। নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আমেরিকাও সতর্ক করেছে নিজ ..

তেল আবিব ও হাইফার আকাশে ফের বারুদের গন্ধ। ইরান ঘোষণা দিয়েছে নতুন ধাপে ইসরায়েলের দুটি বড় শহরে তারা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার পারদ আরও চরমে উঠেছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, এই হামলা মূলত ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটি ও কৌশলগত স্থাপনাগুলোর ওপর কেন্দ্র করে চালানো হয়েছে। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল তেল আবিব এবং উত্তরের শিল্প শহর হাইফা।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী রাত ১২টার কিছু পরে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানায়, তারা ইরানের দিক থেকে আসা একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো শনাক্ত হওয়ার পরপরই দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় বেজে ওঠে সতর্কতামূলক সাইরেন।
এই হামলার ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই গভীর রাতে আত্মীয়দের ফোন করে খোঁজখবর নিতে শুরু করেন।

ইসরায়েল বলছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয়ভাবে কাজ করছে এবং বেশিরভাগ হামলাকে মাঝ আকাশেই প্রতিহত করা হয়েছে। তবে কতগুলো ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে বা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, সে বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কিছু জানানো হয়নি।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বলেন, "আমরা সম্ভাব্য বড় সংঘর্ষের জন্য প্রস্তুত রয়েছি। আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী সতর্ক রয়েছে এবং হামলা প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছে।

এই হামলার প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাগরিকদের ইসরায়েল ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে বলেছে। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট একটি বিবৃতি দিয়ে জানায়, ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার কারণে ইসরায়েল এখন চরম অনিরাপদ। ফলে মার্কিন নাগরিকদের ইসরায়েল ভ্রমণের উপর সর্বোচ্চ সতর্কতা লেভেল-৪ জারি করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, "সশস্ত্র সংঘাত, সন্ত্রাসবাদ এবং অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার সম্ভাবনা বেড়ে যাওয়ায় আমরা ইসরায়েলে না যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে দীর্ঘদিনের বৈরিতা নতুন মাত্রা পেয়েছে সাম্প্রতিক সময়ের নানা ঘটনার পর। বিশেষ করে সিরিয়ায় ইরানপন্থী বাহিনীর উপর ইসরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
অনেকেই আশঙ্কা করছেন, এই ধরণের পাল্টাপাল্টি হামলা বড় ধরনের যুদ্ধের দিকে গড়াতে পারে।

জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এই ঘটনার প্রতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা দু’পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছাতে অনুরোধ জানিয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে আবারও যুদ্ধের ঘনঘটা। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে শুরু হওয়া এই সামরিক উত্তেজনা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে না আনলে তা গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ধ্বংস করতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন চোখ রাখছে তেল আবিব ও তেহরানের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।

Ingen kommentarer fundet