বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর জন্য ২৪ ডিসেম্বর একটি ঐতিহাসিক দিন হতে যাচ্ছে। ২০০৮ সালে ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান তারেক রহমান। এরপর থেকে তিনি প্রবাসে থেকেই দলের হাল ধরেছেন। দীর্ঘ ১৭ বছরের সেই প্রবাস জীবনের ইতি ঘটিয়ে তিনি বীরের বেশে স্বদেশে ফিরছেন। তার এই আগমনকে কেন্দ্র করে ঢাকার প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় জনসমুদ্রের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আসা হাজার হাজার নেতাকর্মী ব্যানার, ফেস্টুন এবং প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত করছেন রাজপথ।
সংবর্ধনা স্থলকে ঘিরে তৈরি হয়েছে অভূতপূর্ব নিরাপত্তা বলয় এবং সেই সাথে উৎসবের আমেজ। সমর্থকদের কণ্ঠে 'তারেক ভাই বীরের বেশে, আসবে ফিরে বাংলাদেশে'—এই স্লোগানটি এখন পুরো এলাকার মূল সুর। তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন বিএনপির রাজনীতিতে নতুন প্রাণসঞ্চার করেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে দীর্ঘ দেড় দশকেরও বেশি সময় ক্ষমতার বাইরে থাকা এবং নানা চড়াই-উতরাই পার করা দলটির জন্য এই নেতার সশরীরে উপস্থিতি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তৃণমূলের সমর্থকরা মনে করেন, তারেক রহমানের উপস্থিতি তাদের রাজনৈতিক লড়াইকে আরও গতিশীল করবে।
পূর্বাচলের সংবর্ধনা মঞ্চের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। দেশের প্রতিটি কোণ থেকে আসা সাধারণ মানুষ, যেমন রিকশাচালক আনোয়ারের মতো ভক্তরা প্রমাণ করছেন যে তারেক রহমানের জনপ্রিয়তা কেবল উচ্চবিত্ত বা মধ্যবিত্তের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের হৃদয়েও প্রোথিত। এই গণজাগরণ কেবল একজন নেতার প্রত্যাবর্তন নয়, বরং দেশের আগামীর রাজনৈতিক মেরুকরণের একটি ইঙ্গিত। ১৭ বছর পর তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে দেশের রাজনীতিতে কোন ধরনের পরিবর্তন আসে, এখন সেটাই দেখার বিষয়। গোটা জাতি এবং আন্তর্জাতিক মহল এখন তাকিয়ে আছে কালকের এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের দিকে।



















