close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

তারেক রহমানের নেতৃত্বের কারণেই হাসিনা দেশ ছেড়েছে : আজাদ

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিএনপির আলোচনা সভায় নজরুল ইসলাম আজাদ দাবি করেন—স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে তারেক রহমানের দৃঢ় নেতৃত্বের কারণেই শেখ হাসিনা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। শহীদ জিয়ার উত্তরস..

স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ১৭ বছরের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন এক গতি এনেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এই নেতৃত্বের ফলেই বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগে বাধ্য হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ঢাকা বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ।

সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার পৌরসভা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। সভাটি আয়োজন করা হয় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে।

নজরুল আজাদ বলেন,

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন দেশের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। তার নেতৃত্ব ও ত্যাগের ফলে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। তিনি কেবল স্বাধীনতার ঘোষকই নন, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকারও তিনি। আজকের পোশাক শিল্প, খাল খনন কর্মসূচি, কৃষিতে বিপ্লব—এসব সবই তারই অবদান।

 

আমাদের গর্বের জায়গা বেগম খালেদা জিয়া—গণতন্ত্রের মা। তার সুযোগ্য সন্তান তারেক রহমান আজ যে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তা শুধু রাজনৈতিক পরিবর্তন নয়, বরং স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনের প্রতীক হয়ে উঠেছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বের কারণেই আজকের দিনে শেখ হাসিনার মতো একজন ফ্যাসিস্ট দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।”

সভাপতিত্ব করেন আড়াইহাজার পৌরসভা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল্লাহ লিটন এবং পরিচালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক ডালিম।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসিকুল ইসলাম রাজীব, সদস্য লুৎফর রহমান আব্দুর, আড়াইহাজার থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবু।

তাদের সাথে ছিলেন ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব মোবারক হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সাকিব আলমগীর, কৃষক দলের আহ্বায়ক আলমগীরসহ বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা—যেমন কালাম, পপি, মাসুম শিকারি, পৌরসভা ছাত্রদলের সভাপতি সুমন ও যুবদলের মাসুদ।

নজরুল আজাদ আরও বলেন

 

আমরা প্রশাসনের ওপর নির্ভর করি না। আমাদের নিরাপত্তা আমরা নিজেরা দেব। আমরা যারা শহীদ জিয়া ও তারেক রহমানের রাজনীতিতে আস্থাশীল, তারা অতীতে জনগণের পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব ইনশাআল্লাহ। তবে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

 

তারেক রহমান কেবল রাজনীতিকই নন, সততার প্রতীক। আজকের যুবসমাজ তাকে অনুসরণ করছে। তিনি আজকের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের মূল নায়ক। শেখ হাসিনার একচেটিয়া শাসনের বিপরীতে তিনিই আমাদের আশার আলো।”

আলোচনা সভায় বক্তারা আরও দাবি করেন
জিয়াউর রহমানের ভাবনা ও আদর্শকে ধারণ করে বর্তমান প্রজন্মের কাছে বিএনপি আজও জনপ্রিয়। শহীদ প্রেসিডেন্টের ঘোষণায়ই শুরু হয়েছিল মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ, যা শেষ হয়েছিল এক লাল-সবুজ পতাকার প্রতিষ্ঠায়। সেই একইভাবে এখন চলছে আরেকটি যুদ্ধ—গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই।

এ লড়াইয়ের প্রধান সেনানায়ক এখন তারেক রহমান—এই বার্তা তুলে ধরেন তারা।

No comments found


News Card Generator