নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে শুরু হয়েছে বিএনপির এক ব্যতিক্রমধর্মী প্রচারণা কর্মসূচি—যার মূল লক্ষ্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের জন্য জনমত গড়ে তোলা।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর নোয়াগাঁও ইউনিয়নের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শত শত নেতাকর্মী লিফলেট হাতে নিয়ে সাধারণ মানুষের দ্বারে দ্বারে হাজির হন।
এই গণসংযোগ কার্যক্রম পরিচালিত হয় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের দিকনির্দেশনায়। এতে অংশগ্রহণ করেন প্রায় তিন শতাধিক সক্রিয় নেতাকর্মী। তারা শুধু লিফলেট বিতরণই করেননি, বরং সরাসরি জনগণের সঙ্গে কথা বলেছেন, তাদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন এবং তারেক রহমানের ৩১ দফার গভীর তাৎপর্য বুঝিয়ে বলেছেন।
নেতাকর্মীরা জানান, বর্তমান সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে এই ৩১ দফা শুধু একটি রাজনৈতিক ঘোষণা নয়, বরং এটি ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য একটি রোডম্যাপ। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা, ন্যায়বিচার ও মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে এই কর্মসূচি অত্যন্ত সময়োপযোগী। তারা বলেন, এই কর্মসূচির মাধ্যমে তারেক রহমান জনসাধারণের হৃদয়ে আশার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।
গণসংযোগে অংশ নেওয়া নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা মজিবুর রহমান ভূইয়া, উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক সেলিম হোসেন দীপু, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ডা. মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দীক, সিনিয়র সহ সভাপতি সেলিম ভূইয়া, সহ সভাপতি নাসির উদ্দীন নাসু, এবং বিএনপি নেতা আমির হোসেন, গোলজার হোসেন, শাহজাহান মৃধা প্রমুখ।
এছাড়া নোয়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আতাউর রহমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ ফারুকসহ অন্যান্য স্থানীয় নেতৃবৃন্দ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
তারা জানান, এই কর্মসূচি চলমান থাকবে এবং ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে উপজেলা ও জেলার প্রতিটি স্থানে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। জনগণের প্রতিক্রিয়া ইতিবাচক, এবং এই তৃণমূল কার্যক্রমেই আগামী দিনের বিজয়ের ভিত গড়ে তোলা হবে বলে তারা বিশ্বাস করেন।
স্থানীয় এক দোকানদার জানান, “অনেকদিন পর এমন রাজনৈতিক সচেতনতামূলক কার্যক্রম দেখলাম। নেতারা শুধু কথা বলেনি, আমাদের কথা শুনেছেও।”
এই লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি সোনারগাঁয়ে বিএনপির রাজনৈতিক তৎপরতাকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে এর ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে, যা দলীয় নেতারা বলছেন—আগামী নির্বাচনে বড় এক সহায়ক শক্তিতে পরিণত হবে।



















