close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

তারেক রহমান হবেন প্রধানমন্ত্রী, আর দেশমাতা খালেদা জিয়া হবেন রাষ্ট্রপতি।মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আখতারুজ্জামানের চাঞ্চল্যকর মন্তব্য—খালেদা জিয়া ফিরছেন রাজনীতির মাঠে রাষ্ট্রপতি হতে, আর তারেক রহমান হবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী! এই মন্তব্য ঘিরে ফের উত্তাল দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন..

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফের তুমুল আলোড়ন। বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে চর্চার ঝড় উঠেছে। এর মধ্যেই বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সাবেক সংসদ সদস্য ও আলোচিত রাজনীতিক মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান এক অনলাইন টকশোতে দিয়েছেন বিস্ফোরক মন্তব্য—“তারেক রহমান হবেন প্রধানমন্ত্রী, আর দেশমাতা খালেদা জিয়া হবেন রাষ্ট্রপতি।”

এই মন্তব্যে মুহূর্তেই নড়েচড়ে বসেছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন। বহুদিন ধরেই রাজনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয় এবং চিকিৎসার জন্য বিদেশে থাকা খালেদা জিয়া সম্প্রতি দেশে ফেরার পর, রাজনীতির মাঠে তাঁর সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। টকশোতে এই প্রশ্নের উত্তরে আখতারুজ্জামান বলেন, “ফিরে আসা তো স্বাভাবিক। উনি তো গিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য। এখন দেশে ফিরেছেন মানেই রাজনীতির হাল ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।”

এটা কোনো রকেট সায়েন্স না”—আখতারুজ্জামান

বিএনপির ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব কেমন হবে—এমন প্রশ্নে আখতারুজ্জামান স্পষ্ট ভাষায় বলেন,
“দেশমাতা খালেদা জিয়া প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হবেন, এরপর রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন। আর তারেক রহমান হবেন তখন প্রধানমন্ত্রী। এটা নিয়ে কোনো জটিলতা নেই। এটা কোনো রকেট সায়েন্স না।”

আখতারুজ্জামানের এ বক্তব্যে একদিকে যেমন বিএনপির অভ্যন্তরীণ পরিকল্পনার আভাস মিলেছে, অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে বিতর্ক ও আলোচনা। কেউ কেউ একে ‘রাজনৈতিক স্বপ্ন’ বললেও, অন্যপক্ষ একে দেখছে নির্বাচনের আগে জনমনে প্রভাব ফেলতে বিএনপির একটি কৌশল হিসেবে।

শেখ হাসিনার প্রতিহিংসা সীমাহীন”—আখতারুজ্জামানের ক্ষোভ

আখতারুজ্জামান তাঁর বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন,
“শেখ হাসিনা তাঁর চূড়ান্ততম প্রতিহিংসা খালেদা জিয়ার ওপর দেখিয়েছেন। আমি তাঁর সঙ্গে দেখা করে অনুরোধ করেছিলাম। দলের অস্তিত্ব বিসর্জন দিয়েও কথা বলেছিলাম। ১৩ই জুলাই ছিল আমাদের শেষ কথা। আমি বলেছিলাম, আর কত প্রতিশোধ নিবেন? এবার ছেড়ে দিন। কিন্তু তিনি শোনেননি।”

তিনি আরও বলেন,
“খালেদা জিয়ার ওপর যে নির্মমতা চালানো হয়েছে, তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। একদিন এর জবাব তাকেও দিতে হবে। একবার হত্যা করলে যেমন একবার ফাঁসি হয়, তেমনি বারবার অন্যায় করলেও পরিণতি একবার আসবেই।”

 খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য ও রাজনীতি—নতুন অধ্যায়?

খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আশাবাদী মন্তব্য করে আখতারুজ্জামান বলেন,
“আজকে মাশাল্লাহ যেটা দেখলাম, আপার শরীর ও মনোবল ভালো। তিনি দেশের হাল ধরার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। এই জাতি তাঁর নেতৃত্বের জন্য অপেক্ষা করছে।”

 রাজনীতিতে বড় সমীকরণ?

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা এবং মেজর আখতারুজ্জামানের বক্তব্য থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে—বিএনপি নতুন করে বৃহৎ রাজনৈতিক পরিকল্পনা সাজাচ্ছে। একদিকে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর রূপকল্প, অন্যদিকে জনগণের মধ্যে খালেদা জিয়ার ভাবমূর্তি জাগ্রত করার প্রয়াস—সব মিলিয়ে স্পষ্ট, বিএনপি বড় কিছুর জন্য মাঠে নামতে প্রস্তুত হচ্ছে।

তবে বাস্তবে এই পরিকল্পনা কতটা বাস্তবায়নযোগ্য এবং রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় তা কতটা গ্রহণযোগ্য হবে—তা নিয়ে বিশ্লেষকদের মধ্যে রয়েছে ভিন্নমত ও বিতর্ক।


 

মেজর আখতারুজ্জামানের এই বক্তব্য যদি বিএনপির প্রকৃত রূপরেখা হয়, তবে বাংলাদেশে এক নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে। খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতি এবং তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী—এই কাঠামো বাস্তবে রূপ নেবে কি না, তা সময়ই বলে দেবে। তবে এখনই বলা যায়, তাঁর মন্তব্য রাজনীতির জগতে আগুন ছড়িয়ে দিয়েছে।

কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি


News Card Generator