close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

স্ত্রী-সন্তানসহ সাবের হোসেন চৌধুরীর দেশত্যাগে আদালতের নি'ষে'ধাজ্ঞা..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
অর্থ পাচার ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগে সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এবং তার পরিবারকে বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। দুদকের অনুসন্ধানে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসায় এই নির্দেশ।..

রাজনীতির প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী ও তার পরিবারের বিদেশ গমন এখন আইনের নিষেধাজ্ঞায়। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত রবিবার এই আদেশ দেন, যা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাদের পক্ষে একটি শক্তিশালী আবেদন উপস্থাপন করে, যেখানে বলা হয়— সাবের হোসেন চৌধুরী তার রাজনৈতিক অবস্থান ব্যবহার করে দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ গড়েছেন। এসব সম্পদের বেশিরভাগই তার ঘোষিত আয় ও বৈধ উৎসের বাইরে বলে দাবি করা হয়েছে।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক মো. সাইদুজ্জামান। আবেদনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয় যে, সাবের হোসেন চৌধুরী, তার স্ত্রী রেহানা চৌধুরী, দুই ছেলে হামদান ও আরাজ, এবং দুই মেয়ে রাইমা ও আলিশার নামে ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকায় এবং কানাডা, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক বিদেশি দেশে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

দুদকের আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, তারা গোপনে দেশত্যাগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে গোয়েন্দা সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। যদি তারা দেশত্যাগ করেন, তবে তদন্ত ও আইনি কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হতে পারে। এ অবস্থায় অনুসন্ধান কার্যক্রমের স্বার্থে তাদের বিরুদ্ধে বিদেশ যাত্রা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে।

আদালতের এই সিদ্ধান্তের তাৎপর্য:

এই নিষেধাজ্ঞা শুধু সাবের হোসেন নয়, তার পরিবারের সব সদস্যের জন্যও প্রযোজ্য। এমন একটি সিদ্ধান্ত দেশের উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চলমান দুর্নীতি দমন প্রচেষ্টারই একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান এখন প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। সম্পদ বিবরণী ও ব্যাংক হিসাব যাচাইয়ের কাজ চলমান। এ বিষয়ে সাবের হোসেন বা তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের প্রতিক্রিয়া:

অনেকেই মনে করছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ সাধারণ মানুষের আস্থাকে দৃঢ় করবে, কারণ রাজনীতিবিদদেরও জবাবদিহির আওতায় আনা হচ্ছে। তবে কেউ কেউ এটিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ হিসেবেও দেখছেন।

এই ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গন ও গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই এখন অপেক্ষা করছেন, দুদক অনুসন্ধানে কী ধরনের তথ্য-প্রমাণ প্রকাশ করে এবং শেষ পর্যন্ত কোন পরিণতির দিকে এটি এগোয়।

Ingen kommentarer fundet


News Card Generator