close
ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
সরকারি চাকরিজীবীদের স্বেচ্ছায় অবসরের বয়সসীমা ২৫ বছর থেকে কমিয়ে ১৫ বছর করার প্রস্তাব দিয়েছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। পাশাপাশি, ১৫ বছর চাকরি করার পর স্বেচ্ছায় অবসর নিলে পেনশনসহ সব ধরনের সুবিধা দেওয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে।
সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেন কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী। প্রতিবেদনে সরকারি চাকরির অবসরের বয়স কমানোসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সরকারি চাকরিজীবীরা ১৫ বছর চাকরি করার পর অবসর নেওয়ার সুযোগ পেলে তাদের কর্মজীবনের নতুন দিক উন্মোচিত হবে। বর্তমানে, ২৫ বছর চাকরির পর কেউ স্বেচ্ছায় অবসরে গেলে তারা পেনশনসহ সব ধরনের অবসর সুবিধা পান। একইসঙ্গে, সরকার যদি কাউকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়, তবে তাকেও পেনশন সুবিধা প্রদান করা হয়। নতুন সুপারিশ অনুযায়ী, ১৫ বছর চাকরির পরও এই সুবিধা বহাল থাকবে।
বাধ্যতামূলক অবসর ও ওএসডি বাতিলের সুপারিশ
প্রতিবেদনে সরকারি কর্মচারীদের বাধ্যতামূলক অবসর (ফোর্সড রিটায়ারমেন্ট) বা ওএসডি (অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি) করার বিধান বাতিলেরও সুপারিশ করা হয়েছে।
বর্তমানে, অনেক সরকারি কর্মকর্তা কর্মদক্ষতা ও প্রশাসনিক কারণে ওএসডিতে পাঠানো হয়, যা তাদের কর্মজীবনের অগ্রগতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কমিশনের মতে, এই বিধান বাতিল করা হলে সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরবে এবং তাদের কর্মদক্ষতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
রাজধানী মহানগর সরকার গঠনের প্রস্তাব
প্রতিবেদনে দেশের শাসনকাজ পরিচালনার সুবিধার্থে ‘রাজধানী মহানগর সরকার’ গঠনের প্রস্তাবও করা হয়েছে। এই পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য হচ্ছে প্রশাসনিক কার্যক্রমকে আরও দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করা এবং নাগরিক সেবাকে সহজলভ্য করা।
নতুন সুপারিশ কী পরিবর্তন আনতে পারে?
১. সরকারি চাকরিজীবীরা ১৫ বছর পরই অবসর নিতে পারবেন, যা কর্মজীবনে নতুন দিক উন্মোচনের সুযোগ তৈরি করবে।
2. পেনশন সুবিধা আগের মতোই বহাল থাকবে, যা স্বেচ্ছায় অবসরের প্রতি উৎসাহিত করবে।
3. বাধ্যতামূলক অবসর বা ওএসডি বাতিল হলে চাকরিজীবীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসবে।
4. রাজধানী মহানগর সরকার গঠনের মাধ্যমে প্রশাসনিক কার্যক্রম আরও সুসংহত হবে।
চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষা
এই সুপারিশগুলো বাস্তবায়িত হলে সরকারি চাকরির নিয়মাবলী বড় ধরনের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাবে। তবে এখনো সরকার এই সুপারিশ চূড়ান্তভাবে গ্রহণ করেনি। অদূর ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
Комментариев нет



















