close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

সরকারের ভেতরে ভারত ও ফ্যাসিবাদের দোসর সিন্ডিকেট লুকিয়ে আছে..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিস্ফোরক বক্তব্য! অধ্যাপক আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী সরাসরি অভিযোগ করলেন—সরকারের ভেতরে ফ্যাসিবাদ ও ভারত-ঘেঁষা দালালদের সিন্ডিকেট এখনও সক্রিয়। তিনি সাবধান করলেন,..

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে আয়োজিত এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভায় উঠে এলো বিস্ফোরক বক্তব্য। বক্তারা বর্তমান সরকারের অভ্যন্তরে ‘ভারত ঘেঁষা ফ্যাসিবাদী সিন্ডিকেটের’ অস্তিত্ব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও প্রাক্তন কূটনীতিক অধ্যাপক ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, “আজকের দিনে আমরা মুক্ত গণমাধ্যমের কথা বললেও বাস্তবে সেই স্বাধীনতা আর নেই। সরকারের ভেতরে এখনও লুকিয়ে আছে সেই ফ্যাসিবাদী সিন্ডিকেট, যারা একসময় দেশকে চরম নিপীড়নের মধ্যে ঠেলে দিয়েছিল। এখনো তারা সক্রিয়ভাবে তৎপর, এবং এদের অনেকেই ভারতঘেঁষা দোসর হিসেবে চিহ্নিত।”

তিনি আরও বলেন, “শেখ মুজিবুর রহমান একদলীয় শাসন কায়েম করে পত্রিকাগুলোর কণ্ঠরোধ করেছিলেন। শুধুমাত্র চারটি সরকারি মুখপত্র টিকিয়ে রেখে বাকিগুলো বন্ধ করে দেন। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান এসে সেই স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।”

ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, “শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বিরোধীমত পোষণকারী মিডিয়াগুলো বন্ধ করে দেন। পরে দালাল সাংবাদিকদের দিয়ে গড়ে তোলেন এক প্রকার ‘প্রচারযন্ত্র’। এই মিডিয়াগুলো জনগণের কণ্ঠস্বর দমনে ব্যবহৃত হতো। দেশজুড়ে হত্যা, দুর্নীতি আর লুণ্ঠনের সংস্কৃতি চালু হয়, যার নেতৃত্বে ছিলেন শেখ হাসিনা নিজেই।”

তিনি দাবি করেন, “শেখ হাসিনা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে গণতন্ত্রের মুখে তালা দিয়েছে। তার দোসররা এখনো সরকারের ভেতরে অবস্থান করে ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়। আমাদের এখনই এগিয়ে আসতে হবে। দেশকে নতুনভাবে সাজিয়ে তুলতে হবে উন্নয়নের পথে।”

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, “আমি কলম দিয়ে যুদ্ধ করেছি স্বৈরাচারী দোসরদের বিরুদ্ধে। যারা কলম বিক্রি করে, তারা সত্যের শত্রু। আমার লেখা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের একটি অংশ, এবং আমি এই যুদ্ধেই বিজয়ী হয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, “আমার সাংবাদিকতা ছিল দেশের জন্য, জনগণের জন্য। অন্যদিকে কিছু তথাকথিত সাংবাদিক শুধু চাটুকারিতা আর গুণকীর্তনে লিপ্ত ছিলেন। তারা ইতিহাসের কাঠগড়ায় একদিন দাঁড়াবেই।”

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহীদুল ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএফইউজে ও ডিইউজের বর্তমান ও সাবেক নেতৃবৃন্দ।

 

এই আলোচনা সভা শুধু স্মরণ নয়, সতর্কবার্তাও। বক্তারা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না জনগণ ও সাংবাদিক সমাজ ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ায়, ততক্ষণ পর্যন্ত ফ্যাসিবাদী চক্র বারবার মাথা তুলে দাঁড়াবে।

कोई टिप्पणी नहीं मिली