close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

সর্বশক্তি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়ার অঙ্গীকার ইরানের..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যায়িত করে সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য প্রস্তুত ইরান।..

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক আগ্রাসনকে ‘গুরুতর ও নজিরবিহীন’ লঙ্ঘন হিসেবে ঘোষণা করেছে। দেশটির পারমাণবিক স্থাপনার বিরুদ্ধে মার্কিন হামলা আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট উলঙ্ঘন এবং এটি বিশ্ব শান্তির জন্য মারাত্মক হুমকি বলে বিবৃতি জানানো হয়েছে। ইরান এই হামলার বিরুদ্ধে লড়াই করার পূর্ণ অধিকার সংরক্ষণ করছে এবং সামরিক ও কূটনৈতিক পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে বলে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

বিবৃতিতে তাসনিম বার্তা সংস্থার বরাতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার মাঝপথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ইসরায়েলের আগ্রাসী কর্মকাণ্ডকে সমর্থন দিয়ে এখন তারা ইরানের বিরুদ্ধে বিপজ্জনক যুদ্ধের পরিকল্পনা করছে। এতে স্পষ্ট হয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্র কোন নিয়মকানুন বা নৈতিকতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। তাদের দখলদার ও গণহত্যাকারী শাসন ব্যবস্থা শুধু তাদের স্বার্থ পূরণে নিয়ম ও আইনকে অগ্রাহ্য করছে।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক আগ্রাসন ও অন্যায় কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধের অধিকার রাখে। আমরা আমাদের দেশের নিরাপত্তা ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় সম্পূর্ণ বদ্ধপরিকর।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বর্তমান উত্তেজনা মধ্যপ্রাচ্যের জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করবে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার এই সংঘর্ষ কূটনৈতিক সুরাহার পথ বন্ধ করে একটি দীর্ঘস্থায়ী সংকটের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

বিশ্বব্যাপী বহু দেশের উদ্বেগের মুখে ইরান একদিকে শক্ত অবস্থান নেওয়ার বার্তা দিলেও, অন্যদিকে শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণের পথও খোলা রেখেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক পদক্ষেপ ও ইসরায়েলের সমর্থনে ইরানের রুখে দাঁড়ানো অঞ্চলটির নিরাপত্তার জন্য এক নতুন পরীক্ষার সূচনা করেছে।

পররাষ্ট্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সংঘর্ষ শুধু দুটি দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ভারসাম্য এবং আঞ্চলিক ক্ষমতার জন্যও এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়। ইরানের শক্ত প্রতিরোধ এবং যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসন পরিস্থিতিকে বিশ্বব্যাপী প্রভাবিত করতে পারে, যার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন এক অস্থিরতার অবতারণা হতে পারে।

এই অবস্থায় ইরানের সিদ্ধান্ত, তাদের জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বাত্মক প্রতিরোধের মাধ্যমে দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টিও এখন একমাত্র শান্তিপূর্ণ কূটনৈতিক সমাধানের দিকে।

ইরানের এই ঘোষণার প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোর পরবর্তী পদক্ষেপ এবং কূটনৈতিক আলোচনার ভবিষ্যৎ পথই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব শান্তির জন্য যে কোনও হঠাৎ উত্তেজনা এড়ানো এখন অত্যন্ত জরুরি।

Ingen kommentarer fundet