close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

সৌদি পৌঁছেছেন ৪৯৯০৪ হজযাত্রী, মৃত্যু ৮

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
চলতি বছরের হজে সৌদি পৌঁছেছেন প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশি হজযাত্রী। ধর্মীয় আবেগের এই মহাসফরে ইতোমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৮ জন। সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রার আপডেট তথ্য তুলে ধরা হলো বিস্তারে।..

চলতি বছরের হজযাত্রায় সৌদি আরব পৌঁছেছেন বাংলাদেশি ৪৯ হাজার ৯০৪ জন হজযাত্রী। তবে ধর্মীয় এই মহাযাত্রায় ইতোমধ্যেই সৃষ্টি হয়েছে বিষাদের ছায়া। হজ পালন করতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৮ জন হজযাত্রী—যার মধ্যে রয়েছেন সাতজন পুরুষ ও একজন নারী।

সোমবার, ১৯ মে ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত হজ সম্পর্কিত সর্বশেষ সরকারি বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ১২৬টি ফ্লাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশি হজযাত্রীরা সৌদি পৌঁছেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি যাত্রী বহন করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। প্রতিষ্ঠানটির ৬৩টি ডেডিকেটেড ফ্লাইটে গেছেন ২৪ হাজার ৬৯৮ জন হজযাত্রী।

এছাড়া সৌদি আরবের নিজস্ব এয়ারলাইন্স 'সৌদি এয়ারলাইন্স'-এর মাধ্যমে ৪৩টি ফ্লাইটে গেছেন ১৬ হাজার ৯৪৩ জন এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের ২০টি ফ্লাইটে সৌদি পৌঁছেছেন আরও ৮ হাজার ২৬৩ জন।

হজ বুলেটিনে আরও বলা হয়, এখন পর্যন্ত যারা হজ করতে সৌদি গেছেন, তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় গেছেন ৪ হাজার ৫৮৩ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গেছেন ৪৫ হাজার ৩২১ জন। অর্থাৎ প্রায় ৯১ শতাংশ হজযাত্রী বেসরকারি হজ কাফেলার সঙ্গে পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব গেছেন।

উল্লেখযোগ্য যে, চলতি বছরের হজ কার্যক্রম শুরু হয় ২৯ এপ্রিল ২০২৫-এ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইটের মাধ্যমে। ওই ফ্লাইটে ৩৯৮ জন হজযাত্রী ছিলেন। ফ্লাইটটি সৌদির উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার মাধ্যমে এ বছরের হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এই কর্মসূচি চলবে ৩১ মে পর্যন্ত।

চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে সর্বমোট ৮৭ হাজার ১০০ জন হজযাত্রী সৌদি যাওয়ার অনুমতি পেয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫ হাজার ২০০ জন যাবেন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং বাকি ৮১ হাজার ৯০০ জন যাবেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়।

হজের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ জুন। সৌদি সরকারের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এই তারিখ পরিবর্তিত হতে পারে। হজ পালনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে হজযাত্রীদের দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হবে ১০ জুন থেকে এবং এই প্রক্রিয়া চলবে আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত।

হজযাত্রীদের মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিলেও, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অধিকাংশ মৃত্যুই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা বা দীর্ঘস্থায়ী রোগের কারণে ঘটেছে। হজ মিশনে নিয়োজিত মেডিকেল টিম ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন।

সারা দেশের মুসলমানদের মধ্যে হজ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ থাকলেও এবারের হজ ব্যবস্থাপনায় কিছু চ্যালেঞ্জও ছিল। বিমান ভাড়া, আবাসন খরচ ও নানা আনুষঙ্গিক ব্যয়ের কারণে অনেকে শেষ পর্যন্ত হজে যেতে পারেননি। তারপরও সরকারের আশা, যাত্রা শেষে এ বছর হজ ব্যবস্থাপনায় সন্তোষজনক সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হবে।

হজযাত্রীদের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা ও ধর্মীয় কার্যক্রম নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে বাংলাদেশ হজ মিশন সৌদিতে তৎপর রয়েছে। মক্কা, মদিনা ও মিনায় হজযাত্রীদের জন্য নির্ধারিত আবাসন ও পরিবহন সুবিধাও নিশ্চিত করা হয়েছে।

ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য হজ একটি চির কাঙ্ক্ষিত ইবাদত। প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে লাখো মানুষ আল্লাহর ঘর বাইতুল্লাহ জিয়ারত করতে গেছেন। আশা করা হচ্ছে, সব হজযাত্রী সুস্থভাবে হজ সম্পন্ন করে ফিরে আসবেন এবং তাদের জন্য দেশের মানুষ দোয়া করে যাচ্ছেন।

Ingen kommentarer fundet