close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

সৌদি, ওমান ও কাতারে বাংলাদেশের জন্য সুখবর! আসিফ নজরুলের সফরের সাফল্য

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল লেবার মার্কেট কনফারেন্সে বাংলাদেশের জন্য একটি চমকপ্রদ সুখবর নিয়ে এলেন প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি তার সফরের ফলাফল জান
সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল লেবার মার্কেট কনফারেন্সে বাংলাদেশের জন্য একটি চমকপ্রদ সুখবর নিয়ে এলেন প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি তার সফরের ফলাফল জানিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন, যেখানে সৌদি, ওমান ও কাতার সরকারের প্রতিনিধিদের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেন। উল্লেখযোগ্য যে, এই কনফারেন্সের মাধ্যমে শ্রমবাজারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং প্রবাসী শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। ড. আসিফ নজরুল, যিনি এই সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন, তার এই সফর ছিল অত্যন্ত ফলপ্রসূ। তিনি সৌদি আরবের মানবসম্পদ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেছেন, এছাড়া কাতার ও ওমানের মন্ত্রীদের সঙ্গেও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। আসিফ নজরুল তার ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন যে, সৌদি আরব বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য বেশ কিছু ইতিবাচক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তিনি লেখেন, "সৌদি আরব আকামাবিহীন বাংলাদেশিদের বিষয়ে চাকরিদাতাদের দায়-দায়িত্ব আরও কঠোরভাবে দেখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এছাড়া, বাংলাদেশের শ্রমিকদের চাকরির চুক্তি আগে থেকে পাঠানো হবে এবং পেশাজীবীদের সার্টিফিকেটের সত্যায়ন বাংলাদেশ থেকেই করা হবে।" এছাড়া, ওমান সরকারের পক্ষ থেকে সকল বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য বৈধ থাকার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে এবং দ্রুত নতুন কর্মী নেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। কাতারও বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। ড. আসিফ নজরুল বলেন, "এখন পর্যন্ত সব প্রতিশ্রুতিই ভালো, এবং এগুলো আন্তরিক মনে হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে ফলো-আপ করব যাতে এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়।" তবে তিনি বলেন, "প্রবাসীদের মধ্যে কেউ কেউ বিমান ভাড়ার বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। এটি আমার মন্ত্রণালয়ের বিষয় নয়, তবে আমি বিমান কর্তৃপক্ষের সাথে এ বিষয়ে কথা বলব।" এছাড়া, তিনি সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন এবং জানান, সৌদি আরবে বাংলাদেশের জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সৌদি আরবের প্রায় ২০টি চাকরিদাতা কোম্পানির সঙ্গে বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে প্রবাসী শ্রমিকদের কল্যাণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। এটি শুধু বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য নয়, বরং প্রবাসী বাংলাদেশের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ইতিবাচক পদক্ষেপ, যা ভবিষ্যতে আরো উন্নত এবং সুরক্ষিত কর্মজীবন নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে। এসব উদ্যোগের সাফল্য দেশের শ্রমিকদের জন্য আশার আলো বয়ে আনবে, এবং প্রবাসে বাংলাদেশের কর্মী-কূলের জীবনে একটি নতুন আশা এবং সুযোগের সৃষ্টি করবে।
No comments found