close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

সোমবার সরাসরি আলোচনায় বসছে ভারত-পাকিস্তান

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
অস্ত্রবিরতির পর প্রথমবারের মতো সামরিক পর্যায়ে বৈঠকে বসছে ভারত ও পাকিস্তান। আলোচনায় সিন্ধু চুক্তি, সন্ত্রাসবাদ দমন ও কাশ্মীর ইস্যু উঠে আসতে পারে। দুই দেশের ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস (ডিজিএম..

দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তে উত্তেজনা, পাল্টাপাল্টি হামলা ও কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে সোমবার প্রথমবারের মতো সামরিক পর্যায়ে সরাসরি আলোচনায় বসতে চলেছে ভারত এবং পাকিস্তান। এই বৈঠকটি হতে যাচ্ছে দুই দেশের ডিজিএমও (Director Generals of Military Operations) স্তরে, যা যুদ্ধবিরতি ও সীমান্ত উত্তেজনার প্রেক্ষিতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় এই বৈঠক শুরু হওয়ার কথা। এখন পর্যন্ত ভারতের পক্ষ থেকে আলোচনার বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি না এলেও, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ জানিয়েছেন, তিনটি মূল ইস্যু আলোচনার কেন্দ্রে থাকতে পারে:
১. সিন্ধু জলচুক্তি,
২. সন্ত্রাসবাদ দমন, এবং
৩. কাশ্মীর ইস্যু

বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুললে ভারতের প্রতিক্রিয়া কী হবে, তা নিয়ে কূটনৈতিক মহলে যথেষ্ট আগ্রহ ও কৌতূহল তৈরি হয়েছে।


পূর্ববর্তী প্রেক্ষাপট: সীমান্তে উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্যোগ

গত শনিবার ভারতের সেনাবাহিনী দাবি করে যে, ‘অপারেশন সিঁদুর’ ছিল একটি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংসের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ, যা পাকিস্তানের হামলার পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে নেওয়া হয়। একই সঙ্গে তারা পাকিস্তানকে স্পষ্ট বার্তা দেয় যে, "কোনো ধরনের আগ্রাসী মনোভাব বরদাস্ত করা হবে না।"

রবিবার সন্ধ্যায় ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী এক যৌথ প্রেস ব্রিফিং করে। সেখানে ভারতীয় ডিজিএমও রাজীব ঘাই উপস্থিত ছিলেন, যিনি সোমবারের বৈঠকে পাকিস্তানের ডিজিএমও’র সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসবেন।

তবে বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে কী কী বিষয় উত্থাপিত হতে পারে সে বিষয়ে ঘাই কোনও মন্তব্য করেননি।


সীমান্ত যোগাযোগ: হটলাইনে বার্তা বিনিময়

ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, শনিবার অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনাটি হটলাইনের মাধ্যমে পাকিস্তানকে জানানো হয়েছে। এটি প্রমাণ করে যে, দুই দেশের মধ্যে সামরিক স্তরের যোগাযোগ এখনও সক্রিয় রয়েছে। আর এই সক্রিয় যোগাযোগই হয়তো সোমবারের বৈঠকের প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে।


ভবিষ্যতের ইঙ্গিত: শান্তি না নতুন সংকট?

এই বৈঠক কেবল একটি সামরিক আলোচনা নয় — এটি উপমহাদেশের কূটনৈতিক পরিবেশে একটি বড় মাইলফলক হতে পারে। ভারত ও পাকিস্তান উভয়ের জন্যই এটি একপ্রকার পরীক্ষার মঞ্চ:

  • পাকিস্তান দেখাতে চায় তারা আলোচনায় আগ্রহী,

  • আর ভারত নিশ্চিত করতে চায় যে, জঙ্গিবাদ ও আগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান কঠোর

এই বৈঠক থেকে সত্যিকারের সমাধানের সূচনা হবে, নাকি পুরোনো টানাপোড়েনের নতুন রূপ দেখবে উপমহাদেশ — সেই প্রশ্নের উত্তর পেতে চোখ থাকবে সোমবারের এই গুরুত্বপূর্ণ ঘন্টার দিকে।

Tidak ada komentar yang ditemukan