close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

সম্পত্তি আত্মসাৎ করতে আপন জীবিতো ছোটো ভাই কে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ দেখিয়ে মামলা করেন বড় ভাই।..

Md dipo Khan avatar   
Md dipo Khan
ভোক্তভূগীর ছবি

সম্পত্তি আত্মসাৎ করতে জীবিত সোলাইমান হোসেন সেলিমকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ’ দেখিয়ে মামলা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আপন বড় ভাই গোলাম মোস্তুফা ছোট ভাইয়ের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ধামর গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে সোলাইমান হোসেন সেলিম বেলতলি বাজারে মুদির ব্যবসা করছেন। কিন্তু তার আপন বড় ভাই গোলাম মোস্তুফা, তাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ দেখিয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। ৩০ আগস্ট রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় এই হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। আসামি করা হয় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও।

জানা যায়, ২০ বছর আগে বাবা আব্দুল হাকিম মারা গেলে জমি নিয়ে বিরোধ হয় ভাইদের মধ্যে। সম্পত্তির লোভে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী। 

 

ভুক্তভোগী সোলাইমান হোসেন সেলিম বলেন, ‘মোস্তুফা হইলো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আসামি। সে বাড়িতে নাই। তারা মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে আমাকে মেরে গুম করার পরিকল্পনা করে। এর মাধ্যমে তারা সরকারি অর্থও পাবে এবং আমার সম্পত্তিও যেগুলা আসে সেগুলোও নিতে পারবো।’

সেলিমের স্ত্রীর দাবি, হত্যার উদ্দেশ্যেই এই নাটক সাজিয়েছেন তাঁর তিন ভাই। তিনি বলেন, ‘ওদের কোনো দোষ হইবো না, হেরা (সেলিমের তিন ভাই) মাইরা কবো ছাত্র আন্দোলনে মরছে। এরপর আমাগো মেয়েগো মারব, হেইডা করবো সেইডা করব।’

স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, এলাকাবাসী এইটা নিয়া উদ্বিগ্ন যে একটা জীবিত মানুষকে মৃত বানায়ে মামলা করছে।

এদিকে নানা মামলা থাকায় ১৫ বছর ধরে ময়মনসিংহে যান না গোলাম মোস্তুফা। সেলিমকে নিহত দেখিয়ে মামলা করার বিষয়ে নানা কথা বলছেন তার আত্মীয়রা।    

 

পুলিশ বলছে, পারিবারিক বিরোধের কারণেই জীবিত সেলিমকে মৃত দেখিয়ে তাঁর ভাই মামলা করেছে। এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ী পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।

 

ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রুকনুজ্জামান বলেন, ‘যে থানায় মামলা হয়েছে সেই থানা থেকে আমাদের কাছ থেকে ভুক্তভোগী সম্পর্কে জানতে চায়। তখন আমরা ওই এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখি ভুক্তভোগী মারা যাননি, বেঁচে আছেন। ভুক্তভোগীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায় তাদের ওই ভাইয়ের সাথে পূর্ব থেকে বিরোধ আছে।’

 

এ বিষয়ে চেষ্টা করেও মামলার বিষয়ে জানতে গোলাম মোস্তফার নাগাল পাওয়া যায়নি।

Không có bình luận nào được tìm thấy