close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

সিরাজগঞ্জের সেই মিনি ‘আয়না ঘরের’ মালিক গ্রেপ্তার

Juwel Hossain avatar   
Juwel Hossain
গ্রেপ্তারের পর আয়নাঘর ও আটকের বিষয়ে আদালতে স্বীরোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।..

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় ব্যক্তিগত আয়নাঘরে দুইজন নারী ও পুরুষকে পাঁচ মাস বন্দি রাখার পর মাটি খুড়ে সুরঙ্গ বানিয়ে বেড়িয়ে আসার ঘটনায় আলোচিত সেই বাড়ির মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর আয়নাঘর ও আটকের বিষয়ে আদালতে স্বীরোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকেলে সিরাজগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আলমগীর হোসেন ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। গ্রেপ্তারকৃত আয়নাঘরের মালিক সুমন সেখ (২৩) রায়গঞ্জ উপজেলার সোনারাম মধ্যপাড়ার জহুরুল ইসলামের ছেলে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিরাজগঞ্জ ডিবির এসআই নাজমুল হক রতন জানান, সোমবার দিবাগত রাতে সদর উপজেলার বহুলী বাজার এলাকা থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করা হলে সে ১৬৪ ধারায় স্বীরোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সাড়ে ৩ ঘণ্টা জবানবন্দি রেকর্ড করার পর সন্ধ্যায় তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

নাজমুল হক আরও বলেন, জবানবন্দিতে সুমন সেখ জানিয়েছে পল্লী চিকিৎসক নাজমুল হোসেন আরাফাত তাদের বাসা ভাড়া নিয়ে নিচের ফ্লোরে দুইটি কক্ষ তৈরি করেন। যেখানে দুইজন নারী ও পুরুষকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। তিনি নিজে তাদের খাবার সরবরাহ করতেন। আরাফাতসহ অজ্ঞাত ২/৩ জন সেখানে নিয়মিত যাতায়াত করতো।

নাজমুল হক জানান, সুমন সেখ এ ঘটনায় দায়ের হওয়া দুটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। ঘটনার দিন দুটি মামলার প্রধান আসামি পল্লী চিকিৎসক নাজমুল হোসেন আরাফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের পূর্ব পাইকড়া গ্রামের আব্দুল জুব্বার (৭৫) এবং লক্ষ্মী বিষ্ণু প্রসাদ গ্রামের শিল্পী বেগমকে (৪৮) সুমন সেখের বাড়িতে প্রায় ৫ মাস যাবত বন্দি করে রাখা হয়। গত ১ মে গভীর রাতে নিজেদের চেষ্টায় তৈরি করা সুরঙ্গ দিয়ে তারা বন্দিদশা থেকে মুক্ত হন।

পরের দিন বিষয়টি জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ লোকজন অভিযুক্ত আরাফাত ও সুমনের বসতবাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এদের মধ্যে আব্দুল জুব্বারকে ২০২৪ সালের ৮ নভেম্বর এবং শিল্পী বেগমকে পল্লী চিকিৎসক নাজমুল হোসেন আরাফাত ১২ ডিসেম্বর অপহরণ করা হয়েছিল। 

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আব্দুল জুব্বারের ছেলে শফিকুল ইসলাম ও শিল্পী বেগমের স্বামী মনসুর আলী বাদী হয়ে আলাদা দুইটি মামলা করেছেন। শফিকুলের মামলায় ৬ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ জন এবং মনসুর আলীর মামলায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। 

প্রধান অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক নাজমুল হোসেন আরাফাত উপজেলার পশ্চিম লক্ষ্মীকোলা গ্রামের বাসিন্দা ও ইনকিলাব পত্রিকার রায়গঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি। এ ঘটনার পর তাকে রায়গঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

Nessun commento trovato


News Card Generator