সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে বিজিবির প্রতি দায়িত্ব পালনের আহ্বান

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি দিবস উপলক্ষ্যে সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিজিবি দেশের ২২৯ বছরের ঐতিহ্যবাহী সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। সীমান্ত রক্ষাসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, এবং জরুরি পরিস্থিতিতে সাহসী ভূমিকা পালন করে এ বাহিনী দেশের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে। “সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী” হিসেবে তাদের দায়িত্ব আরও সুচারুভাবে পালন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজিবি (তৎকালীন বিডিআর)-র বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা গর্বের বিষয়। মুক্তিযুদ্ধে এ বাহিনীর ১২ হাজার সদস্য সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। তাদের মধ্যে দুইজন বীরশ্রেষ্ঠ, আটজন বীর উত্তম, ৩২ জন বীর বিক্রম, এবং ৭৭ জন বীর প্রতীক সহ মোট ৮১৭ জন সদস্য শহীদ হন। উপদেষ্টা গভীর শ্রদ্ধার সাথে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের আত্মত্যাগ স্মরণ করেন। দায়িত্ব পালনে সততা ও চেইন অব কমান্ড বজায় রাখার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিজিবি একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী, যেখানে দেশপ্রেম, সততা এবং মনোবল তাদের প্রধান অস্ত্র। সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালান বন্ধ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে বিজিবি সদস্যদের হতে হবে দায়িত্বশীল, নির্ভীক, এবং জনবান্ধব। উন্নত বাহিনীর সফলতা নির্ভর করে সত্যবাদিতা ও চেইন অব কমান্ডের উপর। তিনি বিজিবি সদস্যদের সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন ও চেইন অব কমান্ড মেনে চলার পরামর্শ দেন। কৃতিত্বপূর্ণ সদস্যদের পুরস্কৃত করা হয় অনুষ্ঠানে বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী এবং জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব ড. নাসিম আহমেদ। এবারের অনুষ্ঠানে ৭২ জন বিজিবি সদস্যকে কৃতিত্বপূর্ণ কাজের জন্য পদক প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ১২ জনকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ পদক (বিজিবিএম), ২৪ জনকে রাষ্ট্রপতি বর্ডার গার্ড পদক (পিবিজিএম), ১২ জনকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ পদক-সেবা (বিজিবিএমএস) এবং ২৪ জনকে রাষ্ট্রপতি বর্ডার গার্ড পদক-সেবা (পিবিজিএমএস) প্রদান করা হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শেষাংশে উপদেষ্টা বিজিবি আয়োজিত খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এই সংবাদটি বিজিবি’র অতুলনীয় গৌরব ও দেশপ্রেমকে নতুনভাবে সামনে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
Geen reacties gevonden