close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

সীমান্তে বি এস এফে র গু লি তে ‘বাংলাদেশি’ নি হ ত

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
সীমান্তে বাংলাদেশিদের প্রাণ ঝরার মিছিল থামছে না
সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে এভাবে বারবার বাংলাদেশিদের প্রাণ হারানো নতুন কোনো ঘটনা নয়। স্থানীয়দের দাবি, সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন র..

মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, আরেকজনের লাশ ফেরত না পাওয়ার ১৯ দিন

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে আবারও রক্ত ঝরল। রোববার (২৭ এপ্রিল) ভোরে ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার বাদগা থানার মধুপুর এলাকায় বিএসএফের গুলিতে ওবাইদুল ইসলাম (৩৬) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তিনি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের হানেফ আলীর ছেলে।

গ্রামবাসীদের ভাষ্যমতে, শনিবার রাতে ওবাইদুলসহ ৭–৮ জনের একটি দল সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। এ সময় মধুপুর বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের ঘিরে ফেলে। দলের অন্য সদস্যরা কোনোমতে পালাতে সক্ষম হলেও ওবাইদুল ধরা পড়ে যান। পরে রাত একটার দিকে সীমান্ত এলাকায় গুলির শব্দ শোনা যায়। গ্রাম পুলিশ ওমর আলী এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবুল হোসেনের মতে, গুলিতে নিহত ব্যক্তিটি ওবাইদুল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

ঘটনার পর বিজিবির যাদবপুর বিওপির কমান্ডার হাবিলদার মফিজুল ইসলাম জানান, তারা ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত হয়েছেন এবং খোঁজখবর নিচ্ছেন। তবে এখন পর্যন্ত নিহতের পরিবার বিজিবির কাছে আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ করেনি।

মহেশপুর-৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ভারতের মধুপুর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার ফোনে জানিয়েছেন, সীমান্তের ওপারে একটি লাশ পড়ে রয়েছে। সেটি বাংলাদেশি নাকি ভারতীয়, তা এখনো নিশ্চিত নয়। ভারতের বাগদা থানার পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।

১৯ দিনেও ফেরত আসেনি আরেক বাংলাদেশির লাশ

এর আগে, একই উপজেলার পলিয়ানপুর সীমান্তে গত ৮ এপ্রিল বিএসএফের হাতে ওয়াসিম নামে আরেক বাংলাদেশি যুবক নিহত হন। গ্রামবাসীদের দাবি, বিএসএফ তাকে ধরে নির্যাতন করে হত্যা করে এবং লাশ ইছামতি নদীতে ফেলে দেয়। নিহত ওয়াসিম ঝিনাইদহের বাঘাডাঙ্গা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে।

ওয়াসিমের ভাই মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, ওইদিন ওয়াসিমসহ কয়েকজন ভারতে প্রবেশের সময় বিএসএফ ধাওয়া করলে অন্যরা পালাতে পারলেও ওয়াসিম ধরা পড়ে। এরপর তার আর খোঁজ মেলেনি। বিজিবি ওয়াসিমের লাশ ফেরত চাইলেও ভিসা ও আইনি জটিলতার কারণে ১৯ দিনেও তা সম্ভব হয়নি। ভারতীয় পুলিশ প্রমাণসহ লাশ গ্রহণের কথা বললেও নিহতের পরিবারের পক্ষে ভারতে গিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি।

No comments found