close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

সিলেটসহ দেশে সহিংস তাণ্ডব! ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট-ভাঙচুর, গ্রেফতার ৪৯..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংস বিক্ষোভে দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর-লুটপাট চালানো হয়। পুলিশ এখন পর্যন্ত ৪৯ জনকে গ্রেফতার করেছে, চলছে আরও অভিযানের প্রস্তুতি। ভিডিও ফু..

গাজা সংহতি আন্দোলনে সহিংসতা: দেশে বিভিন্ন স্থানে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাট, গ্রেফতার ৪৯

গাজায় ইসরায়েলের চলমান হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল রূপ নেয় সহিংসতায়। বিক্ষোভের আড়ালে সোমবার (৭ এপ্রিল) সিলেটসহ দেশের একাধিক শহরে দোকানপাট ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চালানো হয় ভয়াবহ ভাঙচুর ও লুটপাট। পুলিশের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে এখন পর্যন্ত ৪৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, আরও অভিযুক্তদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি - মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকালে গণমাধ্যমকে জানান, সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রুজু করা হয়েছে এবং গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি আরও বলেন, “যেসব দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়েছে, সেসব স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে বাকি জড়িতদেরও শনাক্ত করা হচ্ছে।”

এদিকে, ঘটনার পরপরই সোমবার রাতে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম দেশের সংশ্লিষ্ট থানাসমূহকে কঠোর নির্দেশনা দেন—অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। তিনি বলেন, “আমাদের হাতে হামলাকারীদের ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। তাদের শনাক্ত করা হচ্ছে, এবং অতিদ্রুত গ্রেফতার করা হবে। পুলিশ এরই মধ্যে অভিযান শুরু করেছে।”

সিলেটের ঘটনার বর্ণনায় জানা যায়, নগরীর বেশ কিছু অভিজাত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান যেমন কেএফসি, বাটা ও ইউনিমার্টে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। হঠাৎ করে হামলার মুখে আতঙ্কে আশেপাশের অন্যান্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ হয়ে যায়। পুরো এলাকা রূপ নেয় আতঙ্কের নগরীতে।

এআইজি ইনামুল হক সাগর আরও জানান, “সরকার কোনো আইনসম্মত প্রতিবাদে বাধা দেয় না। তবে প্রতিবাদের নামে যদি কেউ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়, তাহলে তাদের কোনো ছাড় নেই। যারা জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক সরকারি বিবৃতিতে বলেন, “সহিংস ও অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের অভিযানে ৪৯ জন গ্রেফতার হয়েছে। ইতিমধ্যে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আরও মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত চলমান রয়েছে এবং পুলিশ ভবিষ্যতেও অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করবে।”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গাজা সংহতির নামে দেশে সহিংসতা চালিয়ে জননিরাপত্তা ও আইনের শাসনকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে, যা মেনে নেওয়া হবে না। বিবৃতিতে সকল নাগরিককে আহ্বান জানানো হয়, কারো কাছে যদি কোনো তথ্য থাকে, তা যেন পুলিশকে জানানো হয়, যাতে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা যায়।

সরকারের পক্ষ থেকে জোর দিয়ে বলা হয়েছে—“আমরা চাই সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকুক। কেউ যদি সেই শান্তি বিনষ্টের অপচেষ্টা করে, তাহলে তাকে অবশ্যই জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে।”

পুলিশ জানিয়েছে, সহিংসতার ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে প্রতিটি অপরাধীর মুখ ও পরিচয় শনাক্ত করার কাজ চলছে এবং যতদিন না সব অপরাধী গ্রেফতার হচ্ছে, ততদিন অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Nenhum comentário encontrado