সিলেট থেকে ৯২ কিলোমিটার দূরে জকিগঞ্জ। যেতে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লাগে। ভারতের এলাহাবাদে যেভাবে ত্রিবেণীসঙ্গমে মিশেছে গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতী, তেমনিভাবে বাংলাদেশের জকিগঞ্জে মিশেছে বরাক, সুরমা ও কুশিয়ারা।
কুশিয়ারা তীরের কাস্টমস ঘাটে এসে পৌঁছালাম। খরস্রোতা নদী। আফতাব ভাই বললেন, এ প্রান্তে বাংলাদেশের পূর্ব-উত্তর কোণের সর্বশেষ উপজেলা জকিগঞ্জ, অপর প্রান্তে ভারতের আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জ জেলা। পাশেই সীমান্তরক্ষীদের সতর্ক প্রহরা। দুই দেশের মাঝখানে নদীটি আছে ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’ হয়ে। নৌকাগুলোতে কোনোটিতে বাংলাদেশের পতাকা আবার কোনোটিতে ভারতের পতাকা টাঙানো।
ভারতের মণিপুরে জন্ম নেওয়া বরাক মিজোরাম আর আসামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আমলসীদে এসে দুই ধারায় ভাগ হয়েছে। এই দুটিই আমাদের সুরমা ও কুশিয়ারা। দুই নদী জকিগঞ্জ উপজেলাকে তিন দিক থেকে জড়িয়ে আছে। দেখা পেলাম নদীর পাশে নানা রকমের সবজি ক্ষেত। বরাক মোহনার এই মিলিত স্রোতের বিশেষত্ব হচ্ছে
আমলসীদ পয়েন্টে তিন নদীর আকৃতি অনেকটা ইংরেজি ‘ওয়াই’ অক্ষর উল্টো করে ধরলে যে রকম দেখায়, অনেকটা সে রকম।