close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

সিএনএন-নিউ ইয়র্ক টাইমস একত্রিত হয়ে চরম মিথ্যাচার করেছে, ট্রাম্প..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ট্রাম্প বললেন, সিএনএন ও নিউ ইয়র্ক টাইমস মিলে মার্কিন সফল হামলার মানহানি করছে। বাস্তবে ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্র ধ্বংস হয়েছে—দাবি করলেন তিনি।..

যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো আংশিক ধ্বংস হলেও পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়নি—এমন প্রতিবেদন ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বিতর্ক। মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা (DIA) এক গোপন বিশ্লেষণে জানায়, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়েছে মাত্র ৬ থেকে ৯ মাসের জন্য, যা স্থায়ী ক্ষতি নয়।

এই তথ্য ফাঁস হওয়ার পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি সরাসরি অভিযোগ করেছেন—“ফেইক নিউজ” সিএনএন ও “ব্যর্থ” নিউ ইয়র্ক টাইমস ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যাচার করছে এবং দেশের সফল সামরিক অভিযানের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।

ট্রাম্প নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশাল’-এ পোস্ট করে লিখেন:সিএনএন এবং নিউ ইয়র্ক টাইমস একত্রিত হয়ে ইতিহাসের অন্যতম সফল সামরিক অভিযানের মানহানি করছে। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে! এই মিডিয়াগুলো জনগণের চোখে এখন হাস্যকর ও ভ্রান্ত।

হোয়াইট হাউস ও সামরিক সূত্রগুলো থেকে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের এই বিমান হামলায় মূল লক্ষ্য ছিল ইরানের ফোর্ডো, নাতাঞ্জ ও আরাক পারমাণবিক কেন্দ্র। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি—এই তিনটি স্থাপনাতেই সফলভাবে ‘বাংকার বাস্টার’ বোমা ফেলা হয়েছে, যার কারণে সেগুলো কার্যত মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।

ট্রাম্প এক ধাপ এগিয়ে ফক্স নিউজের একটি সাক্ষাৎকার শেয়ার করেন, যেখানে মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক তাঁর সাবেক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বলেন:এটি রাষ্ট্রদ্রোহিতা! এই হামলার গোপন রিপোর্ট ফাঁস করে আমাদের দুর্বল দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে। আমি সব ক্ষয়ক্ষতির বিশ্লেষণ পড়েছি—আমাদের হামলায় যেসব স্থাপনায় আঘাত করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে।

উল্লেখ্য, DIA রিপোর্টে বলা হয়, যদিও আঘাতের কারণে ইরানের কিছু স্থাপনা সাময়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কিন্তু এটি দীর্ঘমেয়াদি বাধা নয়। দেশটি পুনরায় তাদের পারমাণবিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে।

এই বিপরীতমুখী তথ্য সামনে আসায়, দেশটির সংবাদমাধ্যমে চলছে বিতর্কের ঝড়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের স্পর্শকাতর সামরিক তথ্য ফাঁস হওয়া শুধুমাত্র রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকি নয়, বরং আন্তর্জাতিক কূটনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

উইটকফ ফক্স নিউজে বলেন,ফোর্ডোতে আমরা ১২টি বাংকার বাস্টার বোমা ফেলেছি। ছাদ ভেদ করে সেই বোমাগুলো কেন্দ্রস্থলে বিস্ফোরিত হয়েছে। কোনো সন্দেহ নেই যে এগুলো ধ্বংস হয়েছে। যেসব রিপোর্ট বলছে আমরা ব্যর্থ হয়েছি—তারা হয় বিভ্রান্ত, নয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাবাদী।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ঘটনায় আগামী দিনে মার্কিন মিডিয়া, প্রশাসন ও সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে আস্থার সংকট আরও ঘনীভূত হতে পারে।

এই হামলা কতটা সফল ছিল, তা নিয়ে মতবিরোধ থাকলেও একথা স্পষ্ট—এই বিতর্ক মার্কিন রাজনীতিতে নতুন করে বিভাজন তৈরি করেছে। মিডিয়া ও প্রশাসনের মধ্যে বিশ্বাসের ফাটল এবং “রাষ্ট্রদ্রোহিতা” শব্দটি ব্যবহার করে মন্তব্য করা—সব মিলিয়ে এই ইস্যুটি দীর্ঘস্থায়ী বিতর্কের জন্ম দিতে যাচ্ছে।

কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি


News Card Generator