জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সম্মুখযোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অকাল প্রয়াণে স্তম্ভিত গোটা জাতি। এই শোকের ঢেউ আছড়ে পড়েছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনেও। দেশের শীর্ষ দুই ক্রীড়া সংস্থা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) পৃথক বিবৃতিতে এই তরুণ বিপ্লবীর মৃত্যুতে গভীর সমবেদনা ও শোক প্রকাশ করেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে প্রতিষ্ঠান দুটির পক্ষ থেকে তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এই শোকবার্তা প্রচার করা হয়।
বিসিবির শোকবার্তায় জানানো হয়েছে, হাদির মতো একজন দেশপ্রেমিক তরুণের মৃত্যু দেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। তারা শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। অন্যদিকে বাফুফে তাদের বিবৃতিতে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বলেছে, বাংলাদেশের ফুটবল পরিবার এই দুঃসময়ে হাদির পরিবারের পাশে রয়েছে। উল্লেখ্য, সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গত সাত দিন ধরে তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন।
শরিফ ওসমান হাদি শুধু একজন মুখপাত্র ছিলেন না, বরং তিনি ছিলেন চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের এক অকুতোভয় সেনানী। জুলাই বিপ্লবের চেতনা ও ইতিহাসকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে জীবন্ত করে রাখতে তিনি গড়ে তুলেছিলেন ‘ইনকিলাব মঞ্চ’। তার এই সাহসী পদক্ষেপ তাকে জাতীয় বীরের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার ভাষণে হাদির ত্যাগের কথা স্মরণ করে তাকে জাতির এক নক্ষত্র হিসেবে অভিহিত করেছেন।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আততায়ীর বুলেটে বিদ্ধ হওয়ার এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হবে এবং জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। রাষ্ট্রপতির শোকবার্তায়ও হাদির অসীম সাহসিকতার প্রশংসা করা হয়েছে। দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে বিএনপি, জামায়াত ও অন্যান্য সামাজিক সংগঠনগুলো হাদিকে হারানোর শোকে মূহ্যমান। আগামীকাল দেশজুড়ে রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হবে, যা একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে হাদির অসাধারণ অর্জনেরই স্বীকৃতি।



















